ইয়াশ রোহান ও তটিনী দুজনেই ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ। পর্দায় চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলতে জুড়ি নেই তাদের। পরিবারকে লুকিয়ে সম্পর্কে জড়ান দুই তারকা! সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। তবে নায়কের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা মানতে নারাজ নায়িকার পরিবার। প্রেমে ব্যার্থ হয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তারকার জুটি! এমনই এক গল্প ‘কী মায়ায় জড়ালে’ নামের নাটকে অভিনয় করেছেন দুই তারকা।
নাটকটি রচনা করেছেন মজুমদার শিমুল। পরিচালনা করেছেন রাফাত মজুমদার রিংকু। আগামী শুক্রবার ০২ মে, রাত ১০:৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনে দেখা যাবে নাটকটি।
‘কী মায়ায় জড়ালে’ গল্পে দেখা যাবে, সুস্মিতাদের বাড়ির দরজায় উঁকি দিয়ে ভেতরে দেখার চেষ্টা করছে সোহেল। সে সময় সুস্মিতা বাইরে থেকে আসে। সোহেলকে এরকম করতে দেখে জিজ্ঞেস করে কি চায় এখানে। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে পালায় সোহেল। আসলে সুস্মিতাকে পছন্দ করে সোহেল। কিন্তু সামনে গিয়ে বলতে পারে না। দূর থেকে চুরি করে দেখার চেষ্টা করে।
সুস্মিতা আগে থেকেই বিষয়টা জানে। মনে মনে সুস্মিতাও সোহেলকে পছন্দ করে কিন্তু সে অপেক্ষা করে সোহেল তাকে সরাসরি বলবে। দিনের পর দিন চলে যায়, তাদের লুকোচুরি খেলা চলতে থাকে কিন্তু কেউ কাউকে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারে না। একদিন রাস্তায় একা পেয়ে সুস্মিতা অনেকটা চাপ সৃষ্টি করে সোহেলের মুখ থেকে কথা বের করে।
এরপর থেকে তাদের মধুর সময় কাটে। বিপত্তি ঘটে যখন সুস্মিতার বড় বোন সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায়। বাচ্চাকে লালন পালন করার জন্য পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত হয় বড় বোনের জামাইয়ের সঙ্গে সুস্মিতার বিয়ে দিবে। বিষয়টা সোহেলকে জানায় সুস্মিতা। সোহেল তার বাবাকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে সুস্মিতাদের বাড়িতে পাঠায়। সুস্মিতার পরিবার রাজি হয় না।
ইচ্ছের বিরুদ্ধে এমন একটা সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারে না সুস্মিতা। সোহেলকে জানায় সে আত্মহত্যা করবেন। সোহেল বলে তাহলে তারা দুইজন একসাথে মরবে। বাজার থেকে বিষ এনে দুইজনে একটা গোপন জায়গায় গিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেটা কি তারা পারবে?