বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রম করলেও এর প্রভাবে কক্সবাজারে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। উত্তাল সমুদ্রে পর্যটকদের নামতে নিষেধ করা হয়েছে। জেলায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে।
শুক্রবার (৩০ মে) বেলা ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৫২ মিলিমিটার।
এ দিকে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় প্লাবিত হয়েছে জেলার উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল। এতে ৩০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েন হাজারও মানুষ। বিশেষ করে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নিচু এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।
অপরদিকে শুক্রবার সকালে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ছেড়াদিয়া এলাকায় বজ্রপাতে মো. ইমন নামের মৎস্য ঘেরের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া টেকনাফের শাহপরীদ্বীপ, মহেশখালীর ঘটিভাঙ্গা ও মাতারবাড়ী এবং কুতুবদিয়ায় জোয়ার পানিতে বিলীন হয়েছে শতাধিক বসতঘর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারি আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা স্বাভাবিকের চাইতে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি। গভীর নিন্মচাপটি উপকূল অতিক্রম করে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এতে শনিবার পর্যন্ত মাঝারি, ভারী ও অতিভারী বৃষ্টিপাত এবং পাহাড় ধসের আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে বন্ধ রয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল ও কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে স্পিডবোট চলাচল।