বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫

করাচিতে জেল ভেঙে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি

করাচিতে জেল ভেঙে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি

পাকিস্তানের করাচির একটি জেল থেকে দুই শতাধিক কয়েদি পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সোমবার রাতে পরপর কয়েকটি ছোট ভূমিকম্পের পর কর্তৃপক্ষ আতঙ্কিত কয়েদিদের সেল থেকে বাইরে আসার সুযোগ দেওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।  

ভূমিকম্পের কারণে হাজারও বন্দিকে জেলখানার ভেতরে খোলা আঙিনায় আসার অনুমতি দেওয়া হয়, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওই কয়েদিরা পালান, সিন্ধু প্রদেশের আইনমন্ত্রী জিয়াউল হাসান লানজার ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন। 

করাচির মালির জেলার ওই কারাগারের কর্তৃপক্ষ রাত পৌনে একটার দিকে আনুমানিক দুই হাজার বন্দিকে তাদের ব্যারাক থেকে বাইরে গণনার জন্য নিয়ে আসে।

সেই সুযোগে পালানো শুরু হয়, মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত এ তৎপরতা চলে, বলেছেন লানজার।

পুলিশ বলছে, কয়েদিরা কারা কর্মীদের কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিলে গোলাগুলি শুরু হয়, এরপর ওই বন্দিরা কারা কর্মীদের কারাগারের সদর দরজা খুলে দিতে বাধ্য করে।

তবে পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ কয়েদিই জেলখানার বাইরের দেয়াল দিয়ে পালিয়েছেন। রোববার থেকে শুরু হওয়া একের পর এক ছোট ছোট ভূমিকম্পের কারণে ওই দেয়ালটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল।

মোট ২১৩ বন্দি পালালেও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৭৮ জনকে জেলে ফেরত আনা গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গোলাগুলিতে এক কয়েদি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে তিন কারাকর্মী, বলেছেন সিন্ধুর পুলিশপ্রধান গুলাম নবি মেমন। পালিয়ে যাওয়া বেশিরভাগ কয়েদি-ই মাদকাসক্ত বা ছোটখাটো অপরাধে জড়িত ছিল বলে তার ভাষ্য।

মঙ্গলবার রয়টার্সের এক প্রতিনিধি জেলখানার ভেতরে গিয়ে ভাঙা কাচ ও ক্ষতিগ্রস্ত ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম দেখতে পেয়েছেন। যে কক্ষে বন্দিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতেন সেই কক্ষটিতে মিলেছে ভাঙচুরের চিহ্ন।

সিন্ধুর প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ বলেছেন, কয়েদিদের সেল থেকে বের করাটাই ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। যারা পালিয়েছে তাদেরকে আত্মসমর্পণের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেছেন, নয়তো তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মতো মারাত্মক সব অভিযোগ আনা হতে পারে। 

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ