শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫

দুই সপ্তাহ পর খুলল চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালের বহির্বিভাগ

দুই সপ্তাহ পর খুলল চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালের বহির্বিভাগ

দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর চালু হলো রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহির্বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বহির্বিভাগে রোগীদের টিকিট দেওয়া শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শত শত রোগীকে বহির্বিভাগের সামনে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

গত ২৮ মে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দেশের সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতালটি সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেয়। ভর্তি রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। পরে ৪ জুন থেকে সীমিত পরিসরে জরুরি বিভাগে সেবা দেওয়া শুরু হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার জরুরি বিভাগ থেকে অন্তত ৮০ জন রোগী চিকিৎসা পেয়েছেন এবং পাঁচজনের অস্ত্রোপচারও হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগের অধীনে অন্তত ৩০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

আজ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। বহির্বিভাগ চালু হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মাঝে।


মানিকগঞ্জ থেকে মায়ের চোখের চিকিৎসা করাতে আসা মাইদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের মতো নিম্নবিত্তদের জন্য এই হাসপাতাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চোখের চিকিৎসার জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা নেই।”


তবে বহির্বিভাগ খুললেও অন্যান্য সেবা এখনো বন্ধ থাকায় অনেক রোগী পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না। বরিশাল থেকে ছেলে ওমায়েরের চিকিৎসা করাতে আসা জোবায়দা খাতুন জানান, শুধু চিকিৎসক দেখিয়ে ফিরতে হয়েছে, কারণ পরীক্ষার ব্যবস্থা এখনো চালু হয়নি।


হাসপাতালের ভেতরে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যরা। আনসার সদস্য শাহ আলম জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শনিবার থেকে সব সেবা চালু হবে বলে জানানো হয়েছে।


হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলম জানান, “আমরা আগেই জানিয়েছিলাম ধীরে ধীরে সব সেবা চালু করব। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত টিকিট দেওয়া হবে এবং ১টা পর্যন্ত চিকিৎসা চলবে। শনিবার থেকে সব সেবা চালুর পরিকল্পনা আছে।”


তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা এখনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কোনো তথ্য দিচ্ছেন না। সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি তাঁদের ছাড়পত্র দিতে বলেছে। তবে তাঁরা ঈদের পর ফিরলে কী পরিস্থিতি হয়, তা নিয়ে সংশয় আছে।”


এখনও পর্যন্ত কেউ হাসপাতাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়পত্র নেয়নি বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ