মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার ভয়ে ব্ন্ধ করে দেওয়া আকাশসীমা খুলে দিয়েছে কুয়েত ও বাহরাইন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করেছিল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বিমানবন্দরগুলোর কার্যক্রম পুরোপুরি চালু রয়েছে।
কাতারের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আকাশপথে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এসেছে। কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানি হামলার পর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেশটির আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল।
এর আগে, ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের মধ্যে গত ২১ জুন দিনগত রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এর জবাবে সোমবার রাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান।
উল্লেখ্য, কোনোপ্রকার উসকানি ছাড়াই গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও দশজন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ ৫০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।