শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

কারচুপি হলে ভোট বন্ধ

কারচুপি হলে ভোট বন্ধ

❏ আচরণবিধি ভঙ্গ করলে প্রার্থিতা বাতিল

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে একটি ভোটও কারচুপির চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। শনিবার বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। একইদিন বিকেলে সিরাজগঞ্জে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচন করতে গিয়ে কেউ যদি আচরণবিধি ভঙ্গ করে এবং সেটা প্রমাণিত হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে আমরা সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারি। চাইলে প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারি।

এদিকে বরিশালে সিইসি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ভোট করতে প্রার্থীদের সহযোগিতা চাওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেন। সভার শুরুতে কাজী হাবিবুল আউয়াল ‘ভোটের মাঠে অনিয়ম করতেই হবে’ এই বিশ্বাস থেকে প্রার্থীদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে এবারের সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোট পাল্টাতে পারেন না। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফল ঘোষণা হয়। প্রার্থীরা ঘরে বসেই জানতে পারেন ফলাফল। সিস্টেমের ওপর আস্থা রাখতে হবে। ভোটারদের ভোট দিতে হবে।

প্রার্থীদের সহায়তায় এবার জাতীয় নির্বাচন সফল করতে চান জানিয়ে সিইসি বলেন, নানা কারণে এবার ভোট নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছে আমাদের দেশ নিয়ে। অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট করার দাবি আছে বিদেশিদের। সভায় নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি জামিল হাসান, পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবিরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিতি ছিলেন।

এদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সিরাজগঞ্জের ৬টি সংসদীয় আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমি প্রার্থীসহ সবাইকে বলেছি, তাদের যে আইনগুলো আছে তারা যেন সেগুলো মেনে চলেন।

প্রার্থীদের অভিযোগ ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভোট চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ তদন্তের বিষয়ে আমাদের নির্বাচনী কমিটি মাঠে কাজ করছে। সে ক্ষেত্রে কোনো অভিযোগ গেলে তারা সেটা তদন্ত করবেন। তদন্ত রিপোর্টগুলোও কমিশনে পাঠানো হয়। এগুলোর ক্ষেত্রে আমরা অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি, আরও নেব।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদেরকেও বলছি, আপনারা স্বাধীনভাবে কাজ করবেন। আপনাদেরর যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দেয়া হয়, বাধা দেয়া হয়, ভয় দেখানো হয়, সেটাও আমরা শাস্তির আওতায় এনেছি। 

রাশেদা বলেন, আমরা সবাইকে সংযত হয়ে কাজ করার জন্য বলেছি। ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে আসে, তারা যেন ভয় না পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান ও সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল।

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন