টানা দুই জয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বের খুব কাছে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ড্র করলেই টিকিট পেতো সাগরিকারা। কিন্তু এই মিশনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শেষ ম্যাচে তারা হেরেছে ৬-১ গোলের ব্যবধানে। এতে এইচ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
রোববার (১০ আগস্ট) লাও ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শুরুতে এগিয়ে গেলেও ব্যবধান ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে সমতায় ফেরার পর দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের জালে আরও ৫ গোল দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়া। এতে ৬-১ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে তারা।
এদিন ১৩তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন তৃষ্ণা। বক্সের বাইরে ফাঁকা বল পেয়েও কোরিয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি। তবে ১ মিনিট পরেই ভুলের মাশুল দেন তৃষ্ণা।
কোরিয়ান ডিফেন্ডারের কাছে থেকে বল কেড়ে শট নেন শান্তি মার্ডি। তার শট প্রথমে কোরিয়ান গোলরক্ষক রুখে দিলেও সেই বল পেয়ে যান তৃষ্ণা। আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি তৃষ্ণা। এতে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
পিছিয়ে পড়ার পর গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে কোরিয়া। টানা আক্রমণে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ১৯তম মিনিটে দলবদ্ধ আক্রমণে বাংলাদেশের রক্ষণভাগকে পরাস্থ করে সমতায় ফেরে দক্ষিণ কোরিয়া। ২৩তম মিনিটে শান্তিকে তুলে নিয়ে বন্যাকে মাঠে নামান কোচ বাটলার।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণে ধার বাড়ায় কোরিয়াও। তাই ৩০তম মিনিটে আরও একটি পরিবর্তন আনেন বাংলাদেশ কোচ। পূজার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন জুঁথি। এরপর আক্রমণ প্রতি আক্রমণে এগিয়ে যেতে থাকে খেলা।
তবে আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-১ গোলে সমতায় থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে কোরিয়া। নিজেদের সেরা ফুটবল খেলে দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের জালে ৫ গোল দেয় তারা। এতে ৬-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ কোরিয়া। সেই সঙ্গ এশিয়ান কাপের মূল পর্ব নিশ্চিত করেছে দেশটি।
ম্যাচ হারলেও এশিয়ান কাপের মূল পর্বের আশা হারিয়ে যায়নি বাংলাদেশের। কারণ, গ্রুপ পর্বে রার্নাস আপ হওয়া সেরা তিন দল মূল পর্বের টিকিট নিশ্চিত করবে। এই জন্য বাকি ম্যাচগুলোর ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে।