মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪

সড়কে ঝরল ৮ প্রাণ

প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকনিক বাসের সঙ্গে লেগুনার সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চকররিয়ার হারবাং এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এরআগে রাজধানীর খিলক্ষেত ফুটওভার ব্রিজের নিচে বুধবা রাতে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নারী-শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। এছাড়া, আদাবরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় অজ্ঞাত বৃদ্ধা র মৃত্যু হয়।

আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর- চকরিয়ার চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক  জানান, হারবাং এলাকায় গাজীপুর থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজারে পিকনিকে আসা জাকির ট্রাভেল ও চট্টগ্রামমুখী লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনার চার যাত্রী নিহত হন। আহত হয়েছেন প্রায় ৮ জন। দুর্ঘটনায় যানচলাচল ব্যহত হয়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ও গাড়ি দুটি জব্দ করেছে।

তিনি আরও জানান, মরদেহগুলো আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারে হস্তান্তর ও গাড়ি দুটি হাইওয়ে থানার হেফাজতে নেয়া হয়েছে।। 

নিহতরা হলেন, চকরিয়া হারবাং উত্তর করমহরীপাড়ার মোস্তাক আহমদের ছেলে রিদুয়ান, একই ইউনিয়নের সামাজিক পাড়ার রশিদ আহমেদ ছেলে আবু বক্কর, বাদশা মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন, বত্তাতলীর মোজাফফর আহমদের ছেলে মহিউদ্দিন। তবে আহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি হাইওয়ে পুলিশ।

এদিকে রাজধানীর খিলক্ষেত ফুটওভার ব্রিজের নিচে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নারী-শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সুমন মিয়া নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ইয়াসিন নামে আট বছরের এক শিশু নিহত হয়। আহত অবস্থায় আমরিনা হক (২৭) নামে এক নারী ও উজ্জ্বল পান্ডেকে (২৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ বলেন, রাত ৯টার দিকে বিমানবন্দরের দিক থেকে আসা একটি বেপরোয়া প্রাডো জিপ গাড়ি ( ঢাকা মেট্রো-১৫-২৫৯১) ফুটওভার ব্রিজের নিচের আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের ওপর উঠে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই আট বছরের শিশু ইয়াসিন মারা যায়।

এ ঘটনায় শিশু ইয়াসিনের বাবা সুমন মিয়া, উজ্জ্বল পান্ডে ও আমরিনা হক গুরুতর আহত হন। পরে আহত অবস্থায় তাদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে উজ্জ্বল পান্ডে ও আমরিনা হকের মৃত্যু হয়।

এসআই মোশারফ বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। জানা যায়, শিশু ইয়াসিনকে নিয়ে তার বাবা সুমন মিয়া নিকুঞ্জ এসেছিলেন। সে একটি মাদ্রাসায় পড়ত। ইয়াসিনের দাদা খিলক্ষেত এলাকায় চাকরি করেন। সুমন মিয়া ছেলে ইয়াসিনকে নিয়ে তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন