সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫

কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়াল

কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়াল

ঢাকায় টানা বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মরিচের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। রোববার সকালে রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টি ও কিছু এলাকায় বন্যার কারণে দেশের অনেক জেলায় মরিচের উৎপাদন কমে গেছে। অনেক জায়গায় মরিচের গাছ নষ্ট হয়েছে। এজন্য বাজারে সরবরাহ কম এবং দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ৩৬০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগেও দাম ছিল ১৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। বিমানবন্দরের পাশে হজ ক্যাম্প বাজারে ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ৮০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে অনেক বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচের ধরন ও অবস্থানভেদে দাম ভিন্ন। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে মরিচের দাম ছিল ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। বেশির ভাগ পরিবার ২৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম মরিচ কিনে থাকে, যা খুচরাবাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাড়া-মহল্লার দোকান ও ভ্যানে বিক্রি করা মরিচের দাম আরও বেশি।

কারওয়ান বাজারে আজ মরিচের দামের ঝাঁজ কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আড়তদার করম আলী বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে দাম বেশি ছিল। আগে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় কিনতাম, এখন ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। গতকাল ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে। সরবরাহ কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় আগামীকাল দাম কিছুটা কমতে পারে।’

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা কারওয়ান বাজার থেকে গতকাল ১ হাজার ২০০ টাকা দরে পাল্লা (১ পাল্লা ৫ কেজি) কিনেছি। পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যোগ করে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।’ মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের বিক্রেতা নুরুজ্জামান বাবু বলেন, ‘বগুড়া, যশোর, কুষ্টিয়া ও রংপুরে বেশি কাঁচা মরিচ হয়। তবে অনেক এলাকায় অতিবৃষ্টির কারণে উৎপাদন কমেছে। তাই সরবরাহ কম এবং দাম বেড়ে গেছে।’

বিক্রেতারা জানান, মূলত বৃষ্টির কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। এছাড়া আড়তদার ও পাইকারি বিক্রেতারাও বৃষ্টির কারণে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে মরিচের দাম খানিকটা বেড়ে গেছে

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ