সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রার্থিতা বাতিল চাইলেন মমতাজ

প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রার্থিতা বাতিল চাইলেন মমতাজ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তার প্রতিদ্বন্দ্বী এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রার্থিতা বাতিল চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মমতাজ বেগম বলেন, বুধবার রাতে বলধরাতে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাজেদ খানের ছেলে আশরাফ লোকজনকে সাবান দিচ্ছিল। সেটা দেখতে পেয়ে আমাদের লোকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনকে জানালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবান জব্দ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু এরই মধ্যেই যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের কাছে দুইবার মুচলেকা দিয়েছেন যে, তিনি আর আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন না।

এরপরও তিনি আর তার লোকজন আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন, লোকজনকে টাকা দিচ্ছেন, মালামাল দিচ্ছেন। এসবের মাধ্যমে আমি মনে করি দারুণভাবে লোকজনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। পর পর তিনবার যদি এরকম আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়, তাহলে আমি তার প্রার্থিতা বাতিল করার দাবি রাখছি। সংবাদ সম্মেলনে মমতাজ এ বিষয়ে ইসি ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

মমতাজ বেগম সংবাদ সম্মেলনের পর এ বিষয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ডাকেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু।

সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের বাইমাইল এলাকার বাসভবনে তিনি বলেন, মমতাজ বেগমেরও কিন্তু একবার যেতে হয়েছে এবং তিনিও মুচলেকা দিয়ে এসেছেন। এটা (নির্বাচন) আসলে বিশাল একটা কর্মযজ্ঞ। এখানে কোনো কর্মী যদি অতি উৎসাহী হয়ে কোনো কথা বলে তার দায় কিন্তু আমার ওপরেই আসে। আমি ব্যক্তিগতভাবে কাদা ছোঁড়াছুড়ি একেবারেই অপছন্দ করি।

প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা দাবি করতেই পারেন। এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। তারা যদি মনে করেন আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছি, তারা ব্যবস্থা নেবেন।

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন