ভয়ংকর এক সিরিজ বোমা হামলার হুমকিতে কাঁপছে ভারত। হুমকি সত্যি হলে প্রাণ হারাতে পারে মুম্বাইয়ের ১ কোটি মানুষ। মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপে এমনই এক বার্তা এসেছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে ১৪ জন ‘পাকিস্তানি সন্ত্রাসী’ ভারতে ঢুকে পড়েছে এবং বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ৪০০ কেজি আরডিএক্স কাজে লাগাবে তারা।
এমন অবস্থায় সীমাহীন আতঙ্ক বিরাজ করছে ভারতজুড়ে। পুরো মহারাষ্ট্রে জারি করা হয়েছে ‘হাই অ্যালার্ট’, বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) মুম্বাই পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং ট্রাফিক পুলিশ এই উদ্বেগজনক বার্তা পেয়েছে। বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, শহরজুড়ে ৩৪টি গাড়িতে রাখা হয়েছে ৩৪টি বোমা। ৪০০ কেজি আরডিএএক্সের বিস্ফোরণ ঘটাতে গাড়িগুলো ব্যবহার করা হবে।
মুম্বাই পুলিশের বরাতে সম্পূর্ণ বার্তাটি সংবাদমাধ্যমটির খবরে তুলে ধরা হয়েছে। মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ওই বার্তায় দাবি করা হয়েছে, শহরজুড়ে ৩৪টি গাড়িতে ৩৪টি ‘মানব বোমা’ রাখা হয়েছে এবং এই বিস্ফোরণ পুরো মুম্বাইকে কাঁপিয়ে দেবে। ‘লস্কর-ই-জিহাদি’ বলে দাবি করা এই সংগঠনটি বলছে ১৪ জন পাকিস্তানি সন্ত্রাসী ভারতে প্রবেশ করেছে। বিস্ফোরণ ঘটাতে ব্যবহার করা হবে ৪০০ কেজি আরডিএক্স। এতে মারা যাবে এক কোটি মানুষ।
হুমকি বার্তাটি এখনও তদন্ত করছে পুলিশ এবং এটি মূল্যায়নের জন্য নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, ‘মুম্বাই পুলিশ সতর্ক রয়েছে এবং রাজ্যজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। হুমকির সকল দিক তদন্ত করা হচ্ছে।’
কয়েকদিন আগেই থানে জেলার কালওয়া রেলওয়ে স্টেশন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকির কারণে রূপেশ মধুকর রণপিসে নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, গত রোববার বিকেল ৪টায় ওই ব্যক্তি ফোনটি করেছিলেন এবং বোমার হুমকি সম্পর্কে অসংলগ্নভাবে কথা বলেছিলেন।
৪৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে একদিন পর গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মুম্বাই পুলিশ একই ধরনের সন্ত্রাসী হুমকির বিষয়ে তথ্য পেয়েছিল, যার পরে শহরের মন্দিরগুলোকে সতর্ক থাকতে এবং যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের খবর জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সদা সর্বঙ্কর জানান, ‘মুম্বাই পুলিশ আমাদের মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে অনুরোধ করেছে।’