মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

এক নারীকে স্ত্রী দাবি করে দুইজনের টানাটানি, তিনজনই কারাগারে

এক নারীকে স্ত্রী দাবি করে দুইজনের টানাটানি, তিনজনই কারাগারে

এ যেন ভারতীয় সিরিয়ালের বাংলা পর্ব। এক নারীকে স্ত্রী দাবি করে দুই স্বামীর হাতাহাতি-টানাটানি। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ থানায় নিয়েও কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। অগত্যা তিনজনকেই পাঠানো হয়েছে কারাগারে।

এই তিনজন হলেন ফরিদপুরের কানাইপুর এলাকার বিকাশ অধিকারী, ফরিদপুর সদরের বাসিন্দা পলাশ কুন্ডু ও একই এলাকার সীমা অধিকারী।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যশোর শহরের চারখাম্বার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

যশোর কোতোয়ালি থানা সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে শহরের চারখাম্বার মোড়ে কমলা রঙের সালোয়ার কামিজ পরিহিত এক নারীকে নিয়ে টানাটানি করছিলেন দুই ব্যক্তি। তারা দুজনই ওই নারীকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করছিলেন। একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি। দুজনের টানাটানি ও হাতাহাতি দেখে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। কেউ কেউ ভিডিও করতেও শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তিনজনকেই নিয়ে যায় থানায়।

এরপর সেখানেই শুরু হয় নাটকের পরবর্তী অংশ। থানা চত্বরেই তারা কয়েক দফা নিজেদের মধ্যে শুরু করেন টানাটানি-হাতাহাতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তিনজনকেই ১৫১ ধারায় (নিরাপদ হেফাজত) মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফরিদপুরের কানাইপুরের বাসিন্দা বিকাশ অধিকারী। তার সঙ্গে সীমা অধিকারীর প্রায় ৩৬ বছরের সংসার। এই সংসারে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। কিন্তু সেই সংসার ছেড়ে সীমা অধিকারী ফরিদপুর সদরের বাসিন্দা পলাশ কুন্ডুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, বিকাশ অধিকারীর ঘর ছেড়ে পলাশের হাত ধরে তিনি ভারতে চলে যান এবং সেখানে তারা বিয়েও করেন। এরপর সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে তারা যশোরে এসে একটি হোটেলে ওঠেন। বিষয়টি জানতে পেরে বিকাশের সন্দেহ হয় এবং তিনি সেই হোটেলে যান। এরপরই ত্রিমুখী এই ঝামেলা গড়ায় থানা পর্যন্ত।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ