বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪

বিক্রমপুর জাদুঘরে শতাব্দী প্রাচীন স্যাক্সোফোন

বিক্রমপুর জাদুঘরে শতাব্দী প্রাচীন স্যাক্সোফোন

বিক্রমপুর জাদুঘরকে শতাব্দী প্রাচীন (১০০ বছর আগের) স্যাক্সোফোন দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল গ্রামের শ. ম মিজান। জ্যাজ এবং শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত এই বাদ্যযন্ত্রটি শ.ম মিজানের পক্ষে জাদুঘরকে উপহার হিসেবে দেন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন শ্রীনগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মুজিব রহমান। বিক্রমপুর জাদুঘরের কিউরেটর নাছির উদ্দিন আহমেদ দুর্লভ এই স্যাক্সোফোনটি জাদুঘরের পক্ষে গ্রহণ করেন। শত বছরের পুরনো এই বাদ্যযন্ত্রটি জাদুঘরকে দান করায় শ.ম মিজানকে এ সময় ধন্যবাদ জানানো হয়।

বাদ্যযন্ত্রটি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় পর্ষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালেক ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক ঝর্না রহমান, লৌহজং উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ কবির ভূঁইয়া কেনেডি, মুন্সিগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু হানিফ, শ্রীনগর শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ বেপারী, লৌহজং শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম।

আবিষ্কারকের নামানুসারে এই বিশেষ বাদ্যযন্ত্রের নাম রাখা হয়-'স্যাক্সোফোন’। স্যাক্সোফোন হলো একটি একক যন্ত্র হিসেবে জ্যাজ সঙ্গীতের ইতিহাসে পুরনো একটি পরিচিত বাদ্যযন্ত্র। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেও এটি একটি শক্তিশালী বাদ্যযন্ত্র, বিশেষ করে ফরাসি সুরকারদের কাছ থেকে এটি চেম্বার সঙ্গীত, অর্কেস্ট্রা, এমনকি একটি একক যন্ত্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

স্যাক্সোফোন জার্মানিতে বর্ণবাদ এবং রাশিয়ায় সাম্রাজ্যবাদের ভয়ের প্রতীক, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, যখন জ্যাজ সঙ্গীত আসে, তখন এটি কালো আমেরিকান মুক্তির জন্য একটি কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠে।

বিশেষত ক্ল্যাসিক ও জ্যাজ সংগীতের অন্যতম প্রধান বাদ্যযন্ত্রের আবিষ্কারক অ্যাডলফ স্যাক্স বেলজিয়ামের একজন বিখ্যাত বাদ্যযন্ত্র আবিষ্কারক এবং বাদ্যশিল্পী যিনি প্রথম স্যাক্সোফোন আবিষ্কার করে বিশ্বের সঙ্গীতের ইতিহাসে এক মাইলফলক হয়ে আছেন। তিনি মূলত বাঁশি এবং সানাইবাদক ছিলেন। উনবিংশ শতাব্দীতে তার এই আবিষ্কার জীবৎকালে তাকে স্বীকৃতি না দিলেও, মৃত্যুর পরে 'জ্যাজ্' ঘরানার সঙ্গীতশিল্পীদের কাছে তিনি প্রভূত সমাদৃত হন।

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন