মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ২৫০ ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি, বন্দীরা দিলেন নির্যাতনের বর্ণনা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রোমের মেয়রের সাক্ষাৎ বাংলাবাজার পত্রিকা.কম অধ্যক্ষের অনুরোধে সায়েন্সল্যাব থেকে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ২০ বছর পর ঢাকায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক বৈঠক বাংলাবাজার পত্রিকা.কম দলিল লেখকের কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, দুদকের মামলা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ‘হয়রানি নিরসনে জামিননামা অনলাইনে, আদেশ চলে যাবে কারাগারে’ বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ফের সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ট্রাম্পসহ বিভিন্ন দেশের নেতাদের গাজা যুদ্ধবিরতির নথিতে স্বাক্ষর বাংলাবাজার পত্রিকা.কম কর্মবিরতির মধ্যেই শিক্ষকদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি আজ বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ১৬ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম সুষ্ঠু নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা

গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ইসরায়েল

গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ইসরায়েল

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাঞার শুরু করেছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনের বরাতে জানা গেছে, শুক্রবার থেকে ইসরায়েল-গাজা সীমান্তের ‘ইয়েলো লাইন’ ক্রসিং দিয়ে সেনাদের ফিরিয়ে আনা শুরু হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত গাজার মধ্যাঞ্চলীয় শহর গাজার সিটির শেজাইয়া, আল তুফাহ এবং জেইতুন এলাকা, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের পূর্বাংশ এবং দক্ষিণাংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকেও সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

এদিকে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর নিজ বাসভূমি ফিরে আসছেন গাজার ফিলিস্থিনিরা। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজেদের এলাকায় ফিরে এসেছেন।


শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদিন দক্ষিণ গাজার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে উত্তর গাজায় ফিরে গেছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। যানবাহনের পরিমাণ কম এবং তেলের সংকট থাকায় অধিকাংশ ফিলিস্তিনি যাত্রা করেছেন পায়ে হেঁটে।


একই ভাবে দক্ষিণ গাজার যেসব বাসিন্দা গাজার মধ্যঞ্চলীয় শহর গাজা সিটি এবং পূর্ব গাজায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, তারাও নিজ নিজ এলাকায় ফেরা শুরু করেছেন। বাড়ি ফেরার জন্য সমুদ্রের তীরবর্তী আল রশিদ স্ট্রিট এবং সালাহ আল দীন রোড— এ দু’টি সড়ক ব্যবহার করছেন তারা।


ইসরায়েলি বাহিনীর গত ২ বছরের অভিযানে গাজার ৯০ শতাংশ ভবন সম্পূর্ণ ধ্বস হয়ে গেছে, বাকি ১০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত। ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর একটি বড় অংশই ঘরবাড়ি।


ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান থেকে জীবন বাঁচাতে যারা নিজেদের এলাকা ও বাড়িঘর ছেড়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাদের অধিকাংশের বাড়িঘর এখন ধ্বংস্তূপ। যেসব ফিলিস্তিনি ইতোমধ্যে নিজ  নিজ এলাকায় ফিরে গেছেন, তারা তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করছেন।


গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও মানবিক সহায়তা এবং ধ্বংস্তূপের তলায় আটকে থাকা মৃতদের দেহাবশেষ উদ্ধার করতে ইতোমধ্যে উপত্যকাজুড়ে ৫ হাজার মিশন শুরু হয়েছে।


সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ