মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

জুবায়েদ হত্যা, অভিযুক্ত মাহিরকে পুলিশে দিলেন মা

জুবায়েদ হত্যা, অভিযুক্ত মাহিরকে পুলিশে দিলেন মা

ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন তার মা রেখা আক্তার।

সোমবার সকালে তিনি নিজে বংশাল থানায় গিয়ে ছেলেকে পুলিশের কাছে দিয়ে আসেন।

আজ সন্ধ্যায় মাহিরের খালু ইমরান শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, খুনের ঘটনায় মাহিরের সম্পৃক্ততা পেয়ে গতকাল রাত তিনটার দিকে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যায়। এই খবর পেয়ে মাহিরের মা রেখা আক্তার সোমবার সকাল সাতটার দিকে মাহিরকে নিয়ে বংশাল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। সম্পৃক্ততা না পেয়ে ভোর ছয়টার দিকে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দেয়।

মাহিরকে তার মা থানায় সোপর্দ করেছেন, এই তথ্য স্বীকার করেনি পুলিশ। তবে এ হত্যাকাণ্ডে মাহিরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশের লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. আমিনুল কবীর তরফদার বলেন, আমরা এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছি। শিগগিরই তা জানানো হবে।


তবে দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।


এর আগে, গত ১৯ অক্টোবর (শনিবার) বিকেলে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় টিউশনি করতে যাওয়ার পথে খুন হন জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন। পরে একটি বাড়ির সিঁড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।


জানা গেছে, মাহির ছাড়াও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে। নিহত জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত জানান, তারা পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করতে চেয়েছেন— জবি শিক্ষার্থী বর্ষা, তার বাবা-মা, বর্ষার প্রেমিক মাহির রহমান এবং মাহিরের বন্ধু নাফিস।


তবে মামলার বিষয়ে থানায় বাধার অভিযোগও করেন তিনি। সৈকতের দাবি, বংশাল থানার ওসি আমাদের জানান, এতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে মামলাটা দুর্বল হয়ে যাবে। বিশেষ করে বর্ষার বাবা-মায়ের নাম দিলে মামলা হালকা হয়ে যাবে বলেও তিনি মত দেন।


সৈকত আরও বলেন, আমরা চাই, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাই যেন বিচারের আওতায় আসে। ভাইয়ের হত্যার ন্যায়বিচারই আমাদের একমাত্র চাওয়া।


এ বিষয়ে পুলিশের লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আমিনুল কবীর বলেন, জোবায়েদের পরিবার দাফনের কাজে ব্যস্ত রয়েছে। দাফন কার্যক্রম শেষ করে রাতেই মামলা করবে।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ