শনিবার, ১১ মে, ২০২৪

বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের

বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের

বাংলাদেশসহ এশিয়ার ছয়টি দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। শনিবার দেশটির ভোক্তা, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে ৯৯ হাজার ১৫০ জন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেয়ার খবর দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

বাংলাদেশ ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কায় পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। তবে কোন দেশে কী পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে তা জানা যায়নি।

লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে গত ৮ ডিসেম্বর থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশটি এ পণ্যটি রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল। তখনকার ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরে ২৩ মার্চ রপ্তানি বন্ধের মেয়াদ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য করা হয়। তবে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও দুই দেশের আলোচনার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। অন্য চার দেশেও স্বল্প পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারতের সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। সেই সময় নতুন এই মূল্যসীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।

এদিকে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় চলতি মৌসুমে আড়াই কোটি টনের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হতে পারে বলে আগাম তথ্য দিয়েছে। আগের বছর যা ছিল ৩ কোটি টন। অন্যতম প্রধান উৎপাদনকারী অঞ্চল মহারাষ্ট্রে ৩৪ লাখ টন কম হওয়ার কারণেই এবার উৎপাদন কমেছে। আগের অর্থবছরে বিশ্বের বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ ভারত রেকর্ড পরিমাণ ২৫ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল। এপ্রিল থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৩ কোটি ১৮ লাখ ডলারের পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল, যার মধ্যে বাংলাদেশ ১৮ কোটি ৭৫ লাখ এবং শ্রীলঙ্কা ৪ কোটি ৮১ লাখ ডলারের পেঁয়াজ কিনেছিল।

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন