মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাবাজার পত্রিকা.কম শিক্ষার্থীদের মারধরের বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি ড্যাফোডিলের উপাচার্যের বাংলাবাজার পত্রিকা.কম জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়ালে হিতে বিপরীত হবে : নাহিদ বাংলাবাজার পত্রিকা.কম জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়ায় যা আছে বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ৪ জনের, হাসপাতালে সহস্রাধিক ভর্তি বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ঐকমত্য কমিশন অনৈক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা গ্রহণ করেছে: সালাহউদ্দিন বাংলাবাজার পত্রিকা.কম জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের বাংলাবাজার পত্রিকা.কম শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় মেলিসা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ভোটের আগে অধিকাংশ অস্ত্র উদ্ধার হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম সংঘর্ষে উল্টে গেল ট্রেনের ইঞ্জিন ও ট্রাক, নিহত ১ বাংলাবাজার পত্রিকা.কম সিটি ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

চট্টগ্রামে যুবদল দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

চট্টগ্রামে যুবদল দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার সৈয়দ শাহ রোডের মদিনা আবাসিক এলাকার সামনে সোমবার গভীররাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সাজ্জাদ (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত সাজ্জাদ তক্তারপুল এলাকার বাসিন্দা আলমের ছেলে। তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায়। তিনি সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন।

বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, “ব্যানার টাঙানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সূত্রপাতের কথা শোনা যাচ্ছে। সংঘর্ষে একজন মারা গেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি।”

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ব্যানার খুলে ফেলা নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশা ও বোরহান উদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে রাতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সৈয়দ শাহ রোডে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেনের ছবিসহ একটি ব্যানার টানান বোরহান। রাতে বাদশার অনুসারীরা সেটি নামিয়ে ফেলার চেষ্টা করলে বোরহান ও তার পক্ষের লোকজন বাধা দেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয়।


সংঘর্ষে সাজ্জাদসহ ৮ থেকে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়দের দাবি, রাতজুড়ে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠান।


জানা গেছে, এমদাদুল হক বাদশা চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মাস কয়েক আগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।


নিহত সাজ্জাদের বড় ভাই ইমরান গণমাধ্যমকে বলেন, “রাত ২টার দিকে আমার মার মোবাইলে একজন ফোন করে হাসপাতালে যেতে বলেন। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে সাজ্জাদকে মৃত দেখতে পাই। আমি রাতে বাসায় ছিলাম না, সাজ্জাদ কখন বের হয়েছে সেটা আমার মা জানেন। আমার মা খুব অসুস্থ। তার সাথে এখন কথা বলার অবস্থা নেই।”


এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ