মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫

বিএনপির মনোনয়ন তালিকায় নেই কোনো শোবিজ তারকা

বিএনপির মনোনয়ন তালিকায় নেই কোনো শোবিজ তারকা

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠিত হবে, এমনটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোও হয়েছে নির্বাচনমুখী। অন্তর্বর্তী সরকার বারবার জানিয়েছে, যে করেই হোক ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের আয়োজন তারা সম্পন্ন করবে।

এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় পরিচিত ও গ্রহণযোগ্যতার পাশাপাশি দলীয় জরিপে যারা এগিয়ে আছেন, তারাই আলোচনায় আছেন।

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন বিনোদন অঙ্গনের তারকারাও। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে তাদের নামও শোনা গিয়েছিল এতোদিন ধরে। তবে সোমবার (৩ নভেম্বর) আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে বিএনপি। এতে কোথাও নেই কোনো তারকার নাম।


শোবিজ তারকাদের মধ্যে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় অভিনয় অঙ্গনের মানুষের চেয়ে সংগীতাঙ্গনের মানুষের নামই বেশি উচ্চারিত হয়েছে। যাদের নিয়ে বেশ আলোচনা ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল।

এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় উঠে এসেছে—সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যানসি, চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী হেলাল খান ও শিবা সানু বিএনপির হয়ে নির্বাচনে লড়তে পারেন। কিন্তু মনোনয়ন তালিকায় কোথাও তাদের কারো নাম পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বেবী নাজনীন। এবার এই সংগীতশিল্পীর এলাকা থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মোঃ আব্দুল গফুর সরকার।

২০১৮ সালে সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন কনকচাঁপা, কিন্তু এবার সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকে এখনো কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। মনির খানের ঝিনাইদহ–৩ আসন থেকে মোহাম্মদ মেহেদী হাসান মনোনয়ন পান।

তবে কেউ কেউ মনে করছেন, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে নির্বাচনী হিসাব–নিকাশ এদিক-সেদিক হতেও পারে। তাই এখনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া ৬৩ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থীর নাম দেওয়া হয়নি।


আর তাইতো অনেকেই জল্পনা-কল্পনায় আছেন যে এই সিদ্ধান্ত না নেওয়া আসনগুলোতে প্রার্থীতা দেওয়া হতে পারে তারকাদের। প্রশ্নের উত্তর হয়তো খুব শিগগিরই মিলে যাবে মির্জা ফখরুলের কাছ থেকে। ভক্তকূল আছেন সেই অপেক্ষায়।


প্রসঙ্গত, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি আওয়ামী লীগ আমলেও ছিল। অনেক তারকা রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। কেউ কেউ সংসদ সদস্য হয়েছেন, মন্ত্রিত্বও পেয়েছেন।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ