রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫

গোয়ালন্দে টমেটোর বাম্পার ফলন

গোয়ালন্দে টমেটোর বাম্পার ফলন

রাজবাড়ী জেলায় পদ্মার তীরে বন্যা পরবর্তী সময়ে জেগে ওঠা চরে চাষ করা হয়েছে উন্নত জাতের টমেটো। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগাম চাষ করা এই টমেটোর এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও ভালো পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এই টমেটো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।


রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার চরাঞ্চলে সরেজমিন দেখা যায়, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সঠিক দিকনির্দেশনায় উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারের কারণে টমেটোর ভালো ফলন হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের টমেটো চাষে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকার মতো। হাইব্রিড জাতের টমেটো আবাদ করে কৃষকরা প্রতি বিঘায় টমেটোর ফলন পাচ্ছেন ১০০ থেকে ১২০ মণ করে। এ ছাড়াও বাজারে টমেটোর ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা।



চরাঞ্চলের টমেটো ক্ষেত

কৃষক শুকুর আলি বলেন, ‘এবার মাচা পদ্ধতিতে হাইব্রিড বিউটি প্লাস টমেটো চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে আর বাজারে ভালো দামও পাচ্ছি। প্রতি কেজি টমেটো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। এবার আমি আধুনিক পদ্ধতিতে পাঁচ বিঘা জমিতে হাইব্রিড টমেটো আবাদ করেছি।’



আরেক কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ বছরে ৭ বিঘা জমিতে হাইব্রিড বিউটি প্লাস আগাম জাতের টমেটো আবাদ করেছি এবং ভালো ফলনও হয়েছে। স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে টমেটোর ফলন হচ্ছে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ মণ করে। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকেরা অনেক লাভবান হচ্ছে।’


গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাওয়াজানি গ্রামের চাষি সোবান শেখ বলেন, ‘এ বছর টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়াও আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে পোকা দমন করা হয়েছে। আমরা ভালো দাম পেয়ে খুশি।’


গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রায়হানুল হায়দার জানান, চলতি বছরে এই উপজেলায় ২১৬ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের টমেটো আবাদ হয়েছে। টমেটোর ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দামও বেশি পাচ্ছেন কৃষককরা। তিনি আরও বলেন, কৃষকদের সেক্স ফেরোমোন ফাঁদ দ্বারা ক্ষতিকর পোকা দমন, উন্নত জাত সম্পর্কে ধারণা এবং সুষম মাত্রায় সার, কীটনাশক ব্যবহারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যে কারণে কৃষক লাভের মুখ দেখছেন। এতে তাদের জীবনমান উন্নত হবে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছেন কৃষকরা।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ