বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতিহাস সৃষ্টি করে দেশে ফিরছেন। ইতোমধ্যে তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে (তিনশ ফিট সড়ক) জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতাকর্মী রাতেই সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। অনেককেই রাত কাটিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে। এছাড়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সামনে জড়ো হয়েছেন নেতাকর্মীরা।
মঞ্চ আর আশপাশের এলাকায় তিল ধারণের ঠাঁই নেই, পুরো এলাকায় চলছে উৎসবের আমেজ। সবারবার মুখে মুখে একটি স্লোগান বেশি শোনা যাচ্ছে—‘লিডার আসছেন’। স্লোগান, প্ল্যাকার্ড আর উচ্ছ্বাসে পুরো সমাবেশস্থল উৎসব কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
এদিকে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে ভোর থেকে সদরঘাট টার্মিনাল উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে মানুষের ঢল নামতে থাকে। তাদের হাতে ছিল জাতীয় ও দলীয় পতাকা।
দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে লঞ্চযোগে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মীকে স্বাগত জানাতে সদরঘাট ও আশপাশের এলাকায় বিশেষ অভ্যর্থনা বুথ স্থাপন করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে লঞ্চযোগে হাজার হাজার নেতাকর্মী সদরঘাটে আসতে শুরু করেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মানুষ ট্রাক-বাস-মোটরসাইকেলে দলে দলে ছুটছেন নেতাকর্মীরা।
এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে একটি বিশেষ বুলেটপ্রুফ গাড়ি। বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যাতায়াতে এই গাড়িটিই ব্যবহার করবেন তিনি। এদিন সকাল ৭টার কিছুক্ষণ আগে বুলেটপ্রুফ গাড়িটি বিমানবন্দরে পৌঁছায়। তাকে বরণ করতে নেতা–কর্মীরাও প্রস্তুত রয়েছেন বলে দলীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমানের জন্ম ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর। তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের লড়াইয়ের এক উত্তাল সময়ের মধ্য দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই তিনি সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হন।
দীর্ঘ ও ক্লান্তিহীন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজ জনগণের আস্থার এক অনন্য প্রতীক তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন তিনি।
প্রবাসে থেকেও নেতৃত্ব দিয়ে দলকে সংগঠিত করার পাশাপাশি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম ও জুলাই আন্দোলনেও ছিল তারেক রহমানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
১/১১ এর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ৭ মার্চ কোনো আগাম অভিযোগ বা নোটিশ ছাড়াই তারেক রহমানকে আটক করে। ১৮ মাসের বন্দি জীবনে তিনি পুলিশ রিমান্ডে ভয়াবহ নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের শিকার হন।
তিনি ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি পান। তার শারীরিক অবস্থার আশঙ্কাজনক অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য এক সপ্তাহ পর বিদেশে পাঠানো হয়। এই তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলোই সৌভাগ্যবশত তার নৈতিক সাহস এবং দল ও জাতির প্রতি অঙ্গীকারকে আরও শক্তিশালী করেছে। তারেক রহমানের এই দীর্ঘ অনুপস্থিতিকালে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ছিল অত্যন্ত বন্ধুর এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন।
কৈশোরে রাজনৈতিক পরিবেশ খুব কাছ থেকে দেখেন তারেক রহমান। এ সময় পিতার রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশ পরিচালনার পাশাপাশি নবগঠিত বিএনপিকে এগিয়ে নেয়ার কার্যক্রমকে খুব কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা লাভ করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই তিনি সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে প্রথমে আইন এবং পরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়াশোনা করেন।
আশির দশকে স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন একজন তরুণ রাজনীতিক হিসেবে তারেক রহমানের ব্যক্তিত্ব গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কারণ সময়টি ছিল তার মা বেগম খালেদা জিয়ার সাতদলীয় জোটের ব্যানারে রাজপথে আপসহীন নেতৃত্ব দেয়ার কাল। যা তারেক রহমানের চিন্তা ও মনন গঠনে ব্যাপক অবদান রাখে।
তারেক রহমান ১৯৮৮ সালে বগুড়ার গাবতলী উপজেলা বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে দলে যোগ দেন। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরশাসনের পতন ঘটলে ১৯৯১ সালে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হয়। এ সময় তারেক রহমান মায়ের সাথে সারা দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় নির্বাচনী প্রচারণা চালান, যার ফলশ্রুতিতে বিএনপি নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে এবং বেগম জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন।
পরবর্তীকালে তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে তিনি গোপন ব্যালটের মাধ্যমে জেলা নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া চালু করেন।
দলীয় প্রধানের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও তারেক রহমান কোনো সরকারি পদ বা সংসদ সদস্য হওয়ার মোহ দেখাননি। বরং তার পূর্ণ মনোযোগ ছিল সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপিকে শক্তিশালী করার দিকে। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে তারেক রহমান স্থানীয় সমস্যা ও সুশাসন নিয়ে গবেষণার জন্য ঢাকায় একটি কার্যালয় স্থাপন করেন। সেখানে তিনি বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করেন। তার এই উদ্যোগের ফলেই ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। চেয়ারপারসনের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও এবং তৃণমূল থেকে ব্যাপক সমর্থন থাকলেও তিনি কোনো মন্ত্রিত্ব বা সংসদ সদস্যপদ গ্রহণ করেননি। বরং তিনি দলের তৃণমূল শক্তিশালী করার কাজেই মনোযোগ দেন।
এই সাংগঠনিক দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০২ সালে বিএনপির স্থায়ী কমিটি তাকে সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে মনোনীত করে। দলের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে নিয়োগ লাভের পরপরই তারেক রহমান দেশব্যাপী দলের মাঠপর্যায়ের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন। মূল সংগঠনসহ সহযোগী সংগঠন যেমন জাতীয়তাবাদী যুব দল, জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ইত্যাদি আয়োজিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তারেক রহমান কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ও মাঠপর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য ও মতামত গ্রহণ করেন। মূলত এই জনসংযোগ কার্যক্রমের ফলে দলের নেতাকর্মীদের তরুণ অংশটির মাঝে তারেক রহমান শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের পরিচিত থেকে বেরিয়ে এসে দলের একজন দক্ষ সংগঠক ও সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
২০০৫ সালে তিনি দেশব্যাপী তৃণমূল সম্মেলনের আয়োজন করেন এবং প্রতিটি উপজেলা ইউনিটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসব সম্মেলনে তিনি কৃষকদের জন্য সরকারি ভর্তুকি, বয়স্কদের জন্য ভাতা, পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন ব্যাগবিরোধী উদ্যোগ এবং নারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি কর্মসূচি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করেন। এসব উদ্যোগ স্কুলে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এ সময় তিনি ব্যক্তিগতভাবে সম্মেলনে নিবন্ধন করা অন্তত ১৮ হাজার মানুষের চিঠির জবাব দেন।
২০০৭ সালে দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে বাধ্য করা হয়। একই সময়ে বেগম খালেদা জিয়াকে দেশত্যাগে বাধ্য করার কৌশলের অংশ হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে হয়।
তিনি ২০০৯ সালে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং দল পুনর্গঠনের কাজে সক্রিয় হন। ২০১৮ সালে তার মা, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী হলে তাকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই থেকে তিনি শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
তারেক রহমান সবসময়ই দলের মূল গণতান্ত্রিক আদর্শে অবিচল থেকেছেন। একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন, যা মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে।
তারেক রহমানের বিচক্ষণ ও দক্ষ রাজনৈতিক চিন্তাধারা কেবল জাতীয় পর্যায়েই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও স্বীকৃত হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যেই দেশের রাজনীতিকদের প্রতিহিংসা ও সংঘাতের পথ পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
লন্ডনে দীর্ঘ প্রবাস জীবনে তারেক রহমান দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে গবেষণামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখে রেখে ছিলেন। পাশাপাশি ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে দলের আদর্শ ও রূপরেখা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছেন।
তারেক রহমান ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তার রাজনৈতিক তৎপরতা ও জনসম্পৃক্ততা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা, রাষ্ট্র সংস্কার, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, ভঙ্গুর অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনসহ ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সমাজে সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষে তিনি নিরন্তর লড়াই করে করে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তারই দিকনির্দেশনায় চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানসহ প্রতিটি আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজপথে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
তারেক রহমান সবসময়ই দলের মূল গণতান্ত্রিক আদর্শে অবিচল থেকেছেন। একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন, যা মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে। দিয়েছেন রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখা।
বেগম জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০’-এর আলোকে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শাসনকাঠামোর রূপরেখা হিসেবে ৩১ দফার প্রস্তাবনা পেশ করেন তারেক রহমান।
এতে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, সাংবিধানিক ভারসাম্য এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল নির্ধারণসহ মানবাধিকার সুরক্ষা, বেকার ভাতা, পরিবার-বান্ধব নীতি এবং বৃটিশ মডেলে আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চালুর বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই প্রস্তাবনাগুলোই বিএনপির রাষ্ট্র পরিচালনা নীতিমালার ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় গেলে এসব বাস্তবায়নে তারেক রহমান পুরোপুরি অঙ্গীকারবদ্ধ।
তারেক রহমানের জীবন সহনশীলতা, তৃণমূলের সাথে নিবিড় সম্পর্ক, আদর্শিক রাজনীতি এবং মানবিক নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তারেক রহমানকে এখন দলীয় নেতৃত্বের ঊর্ধ্বে বাংলাদেশের আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে নিজের অবস্থানে অটল রয়েছেন। ১৯৮৮ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত তারেক রহমানের এই দীর্ঘ পথচলা ধৈর্য, সংগঠন, নৈতিকতা ও সহমর্মিতার এক অনন্য শিক্ষা। এটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তাকে এক পরিবর্তনকামী নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ব্যাক্তিগত জীবনে তারেক রহমান ১৯৯৪ সালে চিকিৎসক জোবাইদা রহমানকে বিয়ে করেন। জোবাইদা রহমান সাবেক নৌবাহিনী প্রধান ও দুইবারের মন্ত্রী রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কন্যা। ডা. জোবাইদা রহমান একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান ব্যারিস্টার জাইমা রহমান বর্তমানে আইন পেশায় নিয়োজিত।
তারেক রহমান ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোকে হারান। কোকো মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করেন। একদিকে ছোট ভাইকে হারানো এবং একইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জনগণের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত থাকার বিষয়টি তারেক রহমানকে আরও মানবিক ও সহানুভূতিশীল নেতৃত্বে উদ্বুদ্ধ করে তোলে।
নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাবাজার পত্রিকা.কম



















