বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

জামায়াতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে কার্যত এনসিপি: আব্দুল কাদের

জামায়াতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে কার্যত এনসিপি: আব্দুল কাদের

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট করাকে তারুণের রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। একইসঙ্গে এরইমধ্য দিয়ে কার্যত এনসিপি জামায়াতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব তথ্য জানান।

পোস্টে আব্দুল কাদের লেখেন, তারুণ্যের রাজনীতির কবর রচিত হতে যাচ্ছে। এনসিপি অবশেষে জামাতের সাথেই সরাসরি জোট বাঁধতেছে। সারাদেশে মানুষের, নেতাকর্মীদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে গুটিকয়েক নেতার স্বার্থ হাসিল করতেই এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল এই জোটের ঘোষণা আসতে পারে। আর এরিমধ্য দিয়ে কার্যত এনসিপি জামাতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

 জামায়াতের থেকে এনসিপি ৫০ আসন চেয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, দরকষাকষির সর্বশেষ পর্যায়ে সেটা ৩০ আসনে গিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে। জোটের শর্ত অনুযায়ী এনসিপি বাকি ২৭০ আসনে কোনো প্রার্থী দিতে পারবে না, সেগুলোতে জামায়াতকে সহযোগিতা করবে এনসিপি।


তিনি আরও বলেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে জোটসঙ্গী হিসেবে আসনপ্রতি এনসিপিকে নির্বাচনি খরচ দেওয়া হবে দেড় কোটি টাকা। সমঝোতার ৩০ আসনে কারা চূড়ান্ত হবেন সেই দায়িত্ব জামায়াতের পক্ষ থেকে এনসিপির একজনকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। তিনি হচ্ছেন জামায়াতের অন্যতম আস্থাভাজন, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আর জামায়াতের দিক থেকে থাকবেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এই দুজন মিলেই এনসিপির ৩০ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন।



বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই সমন্বয়ক বলেন, ছোটন গংয়ের সঙ্গে নাহিদ ইসলামের আরও এক ধাপ আগানো সমঝোতা হয়েছে। ছোটন গং জানিয়েছে, পশ্চিমারা প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সংসদে জামায়াতকে চায় না। সেই হিসেবে নির্বাচনে জিতলে নাহিদ ইসলাম হবেন প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধী দলে গেলে নাহিদ হবেন বিরোধীদলীয় নেতা।


 

তিনি বলেন, ‘এতো এতো তরুণ নিজের গোছানো ক্যারিয়ার, পরিবার-পরিজন বাদ দিয়ে দেশের হাল ধরতে এসেছিল, একটা সম্ভাবনা তৈরি করেছিল, স্বপ্ন দেখেছিল; নাহিদ ইসলামরা গতকাল রাতে গিয়ে সেই স্বপ্নকে মাটিচাপা দিয়ে এসেছেন!’

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ