স্মার্টফোন মানেই শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করা নয়। আমাদের হাতের এই ছোট ডিভাইসটি চাইলে হয়ে উঠতে পারে টেপ মেজার, স্পিরিট লেভেল, মেটাল ডিটেক্টর এমনকি স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের সহকারীও। ফোনে থাকা বিল্ট-ইন ফিচার এবং সহজলভ্য কিছু অ্যাপ ব্যবহার করেই দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ ও কার্যকর করা সম্ভব।
ফোনকে বানান টেপ মেজার: আইফোনের ‘মেজার’ অ্যাপ অগমেন্টেড রিয়ালিটি ও ক্যামেরা ব্যবহার করে ঘরের দৈর্ঘ্য, ছাদের উচ্চতা এমনকি মানুষের উচ্চতাও মাপতে পারে। হঠাৎ কোনও কাজে সিদ্ধান্ত নিতে দারুণ উপকারী।
মেটাল ডিটেক্টরের কাজেও ফোন: আধুনিক ফোনে থাকা ম্যাগনেটোমিটার ব্যবহার করে কিছু অ্যাপ ছোট ধাতব বস্তু শনাক্ত করতে পারে। পেশাদার যন্ত্রের মতো নিখুঁত না হলেও সমুদ্রসৈকতে বা খোলা জায়গায় বাচ্চাদের সঙ্গে মজা করার জন্য যথেষ্ট।
টিভি রিমোট হারালে ফোনই ভরসা: অনেক অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইনফ্রারেড ব্লাস্টার থাকে, যা দিয়ে টিভি বা সেট-টপ বক্স নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আবার স্মার্ট ডিভাইসগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায় ওয়াই-ফাই বা ব্লুটুথের মাধ্যমে।
পুরোনো নেগেটিভ থেকে ডিজিটাল ছবি: পুরোনো ফিল্ম নেগেটিভ থাকলে ফিল্মবক্স-এর মতো অ্যাপ দিয়ে সেগুলোকে ডিজিটাল ছবিতে রূপান্তর করা সম্ভব। পরে ছবি এডিট করে রঙ ও উজ্জ্বলতাও ঠিক করা যায়।
হোল্ডে ঝুলে না থেকে কাজ চালান: আইফোনের নতুন ‘হোল্ড অ্যাসিস্ট’ ফিচার কলের অপর প্রান্তে মানুষ কথা বলা শুরু করলেই নোটিফিকেশন দেয়। ফলে লাইনে ঝুলে থাকতে হয় না।
থ্রিডি স্ক্যান তৈরি: লিডার সেন্সরযুক্ত ফোন দিয়ে ঘর বা বস্তু স্ক্যান করে থ্রিডি মডেল বানানো যায়, যা থ্রিডি প্রিন্টিং বা ইন্টেরিয়র ডিজাইনে কাজে লাগে।
নেটওয়ার্ক ছাড়াই হাইকিং ট্র্যাক: অফলাইন ম্যাপ ডাউনলোড করে পাহাড় বা জঙ্গলে ঘোরার সময়ও জিপিএস দিয়ে নিজের পথ ও দূরত্ব ট্র্যাক করা যায়।
ফোন দিয়েই স্টেথোস্কোপ: গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন ব্যবহার করে হৃদস্পন্দনের শব্দ রেকর্ড করা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই এ ধরনের অ্যাপ চালু হয়েছে।
ভালো ঘুমের সহায়ক: আইফোনের অ্যাক্সেসিবিলিটি সেটিংস থেকে হোয়াইট নয়েজ, বৃষ্টি বা সমুদ্রের শব্দ চালু করে সহজেই ঘুমের পরিবেশ তৈরি করা যায়।
দেয়ালের রং মিলিয়ে নিন: কালার-ম্যাচিং অ্যাপ দিয়ে দেয়াল বা কাপড়ের রঙ স্ক্যান করে কাছাকাছি পেইন্ট শেড খুঁজে পাওয়া যায়।
বিদেশে ভাষার ঝামেলা নেই: গুগল ট্রান্সলেট-এর লাইভ ট্রান্সলেশন ফিচার দিয়ে মেনু, সাইনবোর্ড বা হাতের লেখা তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা যায়।
গাছপালা চিনে ফেলুন: গুগল লেন্স বা প্ল্যান্ট আইডেন্টিফায়ার অ্যাপ দিয়ে ছবি তুললেই গাছ বা ফুলের নাম জানা যায়।
ওয়েবক্যামের বিকল্প: ল্যাপটপের নিম্নমানের ক্যামেরার বদলে ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে উন্নত ভিডিও কল করা যায়।
শব্দের মাত্রা মাপুন: ডেসিবেল মিটার অ্যাপ দিয়ে আশপাশের শব্দের মাত্রা পরিমাপ করা যায়, যা আশপাশের ঝামেলা এড়ানোয় কাজে আসে।
ঝুলানো ছবি সোজা রাখুন: ফোনের বিল্ট-ইন স্পিরিট লেভেল দিয়ে ছবি, তাক বা টেবিল ঠিকভাবে সোজা করা যায়।
ডকুমেন্ট স্ক্যান: কাগজে সই করে ফোনের ক্যামেরা দিয়েই নিখুঁত স্ক্যান তৈরি করা যায়।
পুরোনো ছবিতে প্রাণ ফেরান: গুগল ফটোস বা অ্যাপল ফটোস পুরোনো ছবিগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘মেমোরি’ ভিডিওতে রূপান্তর করতে পারে।
রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা নজরে: ফোন বা স্মার্টওয়াচের সেন্সর দিয়ে রক্তের অক্সিজেন স্যাচুরেশন আন্দাজ করা যায়, যা প্রাথমিক সতর্ক সংকেত হতে পারে।
প্রেজেন্টেশন নিয়ন্ত্রণ: ফোন দিয়েই স্লাইড বদলানো, নোট দেখা এমনকি ভার্চুয়াল লেজার পয়েন্টার ব্যবহার করা যায়।
লাইভ লোকেশন শেয়ার: হাঁটতে বা একা ভ্রমণে নিরাপত্তার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লোকেশন শেয়ার করা যায়।
খাবারের হিসাব রাখুন: নিউট্রিশন অ্যাপ দিয়ে খাবারের ক্যালরি, ফাইবার বা লবণের পরিমাণ সহজে ট্র্যাক করা যায়।
পকেট পডকাস্ট স্টুডিও: সস্তা মাইক্রোফোন আর অ্যাপ ব্যবহার করে ফোন দিয়েই পডকাস্ট বা ইন্টারভিউ রেকর্ড করা সম্ভব।
কণ্ঠে ফোন চালান: ভয়েস কমান্ড সেট করে ‘ক্লিক’ বললেই ছবি তোলা বা নির্দিষ্ট কাজ করানো যায়।
স্মার্ট শপিং লিস্ট: শেয়ার করা শপিং লিস্ট অ্যাপ দিয়ে একসঙ্গে বাজারের তালিকা আপডেট করা যায়।
ডেস্ক | বাংলাবাজার পত্রিকা.কম






















