আমরা কোনোভাবেই করদাতাদের ভয় দেখাতে চাই না। আমরা শুধু সচেতন করতে চাই। যারা শূন্য রিটার্ন দেন তারা পরবর্তী সময়ে বিপজ্জনক অবস্থায় পড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিশেষ সহকারী, অর্থ সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শূন্য রিটার্ন-ট্যাক্স দিলে ৫ বছরের দণ্ড, তাহলে কি আপনারা ধমক দিয়ে-ভয় দেখিয়ে ট্যাক্স আদায় করবেন— এমন প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা কোনোভাবেই করদাতাদের ভয় দেখাতে চাই না। আমরা নতুন কোনো আইনও করিনি। আমরা একটা জিনিস দেখলাম বিভিন্ন জায়গায় বসে, দোকানে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেখানো হচ্ছে কীভাবে শূন্য রিটার্ন দেওয়া যায়। এটা কিন্তু বিপজ্জনক। সেই কথাটাই আমরা বলতে চেয়েছি। যখন আপনাদের ফাইলটা অডিটে পড়বে তখন আপনারা কোনো জবাব দিতে পারবেন না৷ কেননা সব তথ্যই মিথ্যা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অসত্য তথ্য যদি দেওয়া হয় সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেই বিষয়টাই আমরা মনে করিয়ে দিয়েছি। আমরা বরং ট্যাক্স পেয়ারদের সুবিধার্থে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা আরও যুগোপযোগী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ হাজার লোক অনলাইনে ট্যাক্স দিচ্ছেন। এটা আসলে সচেতনতা তৈরি করার একটা অংশ। নিশ্চয়ই এর মধ্যে কোনো ভয়ভীতির কিছু নেই। মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার জন্য এটা করা হয়েছে। মানুষ যদি এটা না জানে তাহলেতো সে বিপদে পড়বে।
এনবিআরে আন্দোলনের পর সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে, এখন গণহারে ছাঁটাই চলছে, এতে রাষ্ট্রের কতটা ক্ষতি হচ্ছে এবং কেন এমনটা করা হলো— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলনকারী এনবিআর কর্মকর্তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে বলেছেন। আসলে এ রকম কোনো বিষয় কাগজে-কলমে বা অর্থ উপদেষ্টা বলেননি। আপনি যেটা বললেন সে অর্থে মেসিব কোনো কিছু হয়নি৷ যেসব অফিসার সীমালঙ্ঘন করেছেন, তাদের আমরা শোকজ করে অ্যাকশন নিচ্ছি। যেটা আপনারা বলেছেন, গণহারে চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটেনি। সেটা আমরা করতেও চাই না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই রেভিনিউ বিভাগ নিয়েই এগোতে হবে। তাদেরকে মোটিভেট করেই আমাদের রাজস্ব আদায় করতে হবে। সরকারও চায় না আমাদের এই রিসোর্সগুলো ত্যাগ করি। সরকার এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। হাজার-হাজার মানুষ আন্দোলন করেছে, সে তুলনায় আমাদের অ্যাকশন যেটা নেওয়া হয়েছে সেটা একদম ছোট বিষয়ে যারা তাদের সহকর্মীর আদেশ মিডিয়ার সামনে ছিঁড়ে ফেলেছে, শুধু তাদের ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। অন্যান্য ক্ষেত্রে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিইনি।