বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় সম্মাননা পেলেন ঝাড়খণ্ডের লুৎফল হক

মালয়েশিয়ায় সম্মাননা পেলেন ঝাড়খণ্ডের লুৎফল হক

ডেস্ক: ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা সম্মানে ভূষিত হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের লুৎফল হক। এবার তার মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হল। একসাথে দু-দুটি জোড়া সম্মান পেলেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের পক্ষে তাকে সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য ইন্দো গ্লোবাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি তাকে বাণিজ্যিক সাফল্যের জন্য সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেন। কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটির পক্ষে এদিন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, ড. মজলি মালিক।

লুৎফল হককে কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটির পক্ষে সাম্মানিক ডক্টরের ডিগ্রি ও ইন্দো গ্লোবাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ তুলে দেন মালয়েশিয়ার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ডঃ  মজলি মালিক।

লুৎফল হক অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি পাথর খনিতে দিনমজুর হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি দিনমজুর হিসেবে তার কর্ম জীবন শুরু করলেও তার চোখ জুড়ে  বিশাল স্বপ্ন ছিল।

লুৎফুল হক স্বপ্ন দেখতেন জীবনে একদিন সফল হতে হবে। দীর্ঘ কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে  তিনি বর্তমানে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করছেন দেশ জুড়ে। তার কঠোর পরিশ্রম এবং পিছনে না তাকানোর অভ্যাসের জোরে, লুৎফল হক শুধু  ঝাড়খণ্ডেই নয়, তার বাণিজ্যিক সাফল্য ও মানব সেবার কথা ঝাড়খণ্ডের বাইরেও দেশজুড়ে চর্চা হচ্ছে।

এই প্রথম বিদেশের মাটিতে ড. মালিক লুৎফল হকের  মানবসেবার তুমুল প্রশংসা করেন। ডক্টর মালিক বলেন, লুৎফল হক জিরো থেকে হিরো হয়েছেন। তিনি শৈশবে কৈশোরে দারিদ্রতার সাথে লড়াই করেছেন। বর্তমানে তিনি একজন বড় মাপের সফল ব্যবসায়ী। তিনি কিন্তু শৈশবের দারিদ্রতার কথা ভুলে যাননি। তাই তিনি হাজার হাজার গরীব ও দুস্থ মানুষদের সেবায় আজও নিয়োজিত রয়েছেন।

মালিক বলেন, লুৎফল হকের সমাজসেবা অজস্র মানুষদের অনুপ্রাণিত করবে। কমনওয়েল ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস চ্যান্সেলর ড. রিপুরঞ্জন সিনহাও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও লুৎফল হকের ভুয়সী প্রশংসা করেন।

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর শহরের পাঁচতারা হোটেল সুইস গার্ডেন হোটেলে  অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া সহ ভারতের বহু বিশিষ্টজন  উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য ইতিপূর্বে লুৎফল হককে মুম্বাইতে অল ইন্ডিয়া জার্নালিস্ট প্রোটেকশন কমিটি কর্তৃক সমাজসেবার ক্ষেত্রে সম্মানিত করা হয়েছিল, যেখানে তার সমাজসেবার কথা মুম্বাইয়ের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছিল।

এছাড়া গত মাস দুয়েক পূর্বে  কলকাতায় একটি পাঁচতারা হোটেলে লুৎফল হককে সমাজসেবার ক্ষেত্রে নিঃস্বার্থ কাজের জন্য বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড সম্মান প্রদান করা হয়। এই মহার্ঘ্য সম্মানটি তুলে দেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর।

এ বিষয়ে লুৎফল হক তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেন, আমি শৈশবে দারিদ্রতার সাথে লড়াই করেছি, খুব কাছ থেকে দারিদ্রতাকে দেখেছি। আজ আমি ব্যবসায়ী হিসেবে সফল হয়েছি, তাই গরিব মানুষকে আমি ভুলিনি। লুৎফল বলেন, আমি যতদিন পৃথিবীতে বাঁচবো, ততদিন গরিব ও অসহায় মানুষের সেবা করে যাব।

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ