বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাবাজার পত্রিকা.কম যে ১১ পেশায় যুক্ত হতে পারবেন না এমপিও শিক্ষকরা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন ছাড়াল ৪ লাখ ৫৬ হাজার বাংলাবাজার পত্রিকা.কম বিজয় দিবসে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ নাটকে জামায়াত নেতাদের বাধা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম বিদেশে শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম অস্ট্রেলিয়ার ঘটনাকে ‘চরম ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা তুলসী গ্যাবার্ডের বাংলাবাজার পত্রিকা.কম হঠাৎ ঢাকার ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ ঘোষণা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ঘোষণা, তেজগাঁও কলেজের সামনে পুলিশ মোতায়েন বাংলাবাজার পত্রিকা.কম সোহেল রানা-হুমায়ূন ফরীদি-জসীমসহ যারা মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখেছিলেন বাংলাবাজার পত্রিকা.কম স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে প্রাইম ব্যাংক, থাকছে না বয়সসীমা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম কম পরিশ্রমে ওজন কমানোর কার্যকরী উপায়

ইমান ও তাকওয়াই হলো মুক্তির উপায়

ইমান ও তাকওয়াই হলো মুক্তির উপায়

সুরা মুদ্দাসসির কোরআনের ৭৪ তম সুরা। মক্কায় ইসলামের প্রাথমিক যুগে অবতীর্ণ এ সুরাটির আয়াত সংখ্যা ৫৬, রুকু সংখ্যা ২। ‘মুদ্দাসসির’ অর্থ বস্ত্রাবৃত। এ সুরার প্রথম আয়াতে নবিজিকে (সা.) ‘মুদ্দাসসির’ বা ‘বস্ত্রাবৃত’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে।

হাদিসে এসেছে, হেরা গুহায় প্রথম অহি অবতীর্ণ হওয়ার সময় নবিজি (সা.) বেশ ভয় পেয়েছিলেন। এরপর কিছুদিন ওহি আসা বন্ধ ছিল। একদিন পথ চলার সময় নবিজি (সা.) আওয়াজ শুনে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখেন, হেরা গুহায় দেখা সেই ফেরেশতা অর্থাৎ জিবরাইল (আ.) আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানে একটি ঝুলন্ত চেয়ারে বসে আছেন। তাকে দেখে নবিজি (সা.) ভয় পেয়ে যান এবং ঘরে ফিরে বলেন, আমাকে বস্ত্রাবৃত করে দাও। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নবিজিকে ‘বস্ত্রাবৃত’ বলে সম্বোধন করা হয়।

সুরা মুদ্দাসসিরের ৩৮-৪৮ আয়াতে আল্লাহ বলেন, (৩৮) প্রতিটি প্রাণ নিজ অর্জনের কারণে দায়বদ্ধ। (৩৯) কিন্তু ডান দিকের লোকেরা নয়, (৪০) বাগ-বাগিচার মধ্যে তারা একে অপরকে জিজ্ঞাসা করবে,

(৪১) অপরাধীদের সম্পর্কে, (৪২) কিসে তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করাল?

(৪৩) তারা বলবে, আমরা সালাত আদায়কারীদের দলে ছিলাম না। (৪৪) আর আমরা অভাবগ্রস্তদের খাওয়াতাম না। (৪৫) আর আমরা সমালোচনাকারীদের সঙ্গে (সত্যের অনুসারীদের) সমালোচনা করতাম। (৪৬) আর আমরা প্রতিদান দিবসকে অস্বীকার করতাম। (৪৭) আমাদের কাছে নিশ্চিত বিশ্বাস (অর্থাৎ মৃত্যু) না আসা পর্যন্ত। (৪৮) অতএব সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোণো উপকার করবে না। এ আয়াতগুলো থেকে যে শিক্ষা ও নির্দেশনা আমরা পাই

১. মানুষের মুক্তির একমাত্র উপায় ইমান অর্থাৎ আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও নেক আমল।

২. নামাজ ছেড়ে দেয়া, জাকাত আদায় না করা বড় পাপ। এ পাপের কারণে মানুষকে জাহান্নামে যেতে হবে।

৩. মুশরিক অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কারো জন্য কেয়ামতের দিন সুপারিশ করার কোনো সুযোগ থাকবে না। তারা কারো সুপারিশ পাবে না।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ