বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুমতি কৌশলগত সিদ্ধান্ত

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলীয় নেতারা চাইলে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতেই পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দলের প্রয়োজনেই কৌশলগত সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা থাকতে পারে কারো কারো। কৌশলগত কারণে দলের প্রয়োজনেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুমতি।’

সেতুমন্ত্রী সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীদের চিঠি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা রোববার গণভবনে প্রার্থীদের উদ্দেশে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানে কোনো কিছু অপরিষ্কার, অস্পষ্ট নেই। সবকিছু খোলামেলা বলে দিয়েছেন। সবকিছু স্পষ্ট করেছেন। তার যে গাইডলাইন সেই গাইডলাইন অনুযায়ী যারা প্রার্থী হতে চান, তিনিই ডামি প্রার্থীর কথা বলেছেন। কাজেই এই গাইডলাইন অনুসরন করে প্রার্থী হতে বাধা আছে বলে আমার জানা নেই। স্বয়ং সভাপতি গাইডলাইন দিয়েছেন।’

মনোনয়ন প্রাপ্তদের বিষয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিজয়ী হতে পারবেন, এমন ব্যাক্তিদেরই প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের চেষ্টা করছে সরকার। পরিবেশ বিঘিœত করছে বিরোধী দল। সরকারি দল কোনো সহিংসতা করছে না। একটা বিশেষ দল অংশ নিলেই কি নির্বাচন বৈধ হয়ে যায়? তারা এলেই কি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়ে যায়? ২৫-৩০টি দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি অংশ না নিলেও তাদের দলের কিছু নেতা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

বিএনপি নির্বাচনে জিততে পারবে না বলেই ভোট এড়াতে চাচ্ছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই পরিষ্কার হবে বিএনপি থেকে কারা কারা নির্বাচনে আসবে।

দুই আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করার বিষয়ে তিনি বলেন, দলীয় কৌশলগত কারণেই দু’টি আসনে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী জোটের সুবিধা দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এখানে অ্যাডজাস্টমেন্ট-অ্যাকোমডেশনের বিষয় আছে। সেগুলো চূড়ান্ত করবে দল।

এরআগে সোমবার সকালে ওবায়দুল কাদের স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে শহীদ ডা.শামসুল আলম খান মিলনের মৃত্যুবার্ষিকীতে উপলক্ষে তার সমাধিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ্য থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মহামদু স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, ও শফিউল আলম চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সাংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আসছে নির্বাচনে নতুন নতুন কৌশল নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পাশাপাশি দলের নেতাদেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী (ডামি) হওয়ার অনুমতি দলের প্রয়োজনে কৌশলগত সিদ্ধান্ত। 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনের পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। বিক্ষিপ্ত বোমাবাজি করে এটা বন্ধ করা যাবে না। আওয়ামী লীগ নয় অপকর্মের জন্য বিএনপিই সঙ্গী খুঁজে বেড়াচ্ছে। এরপর দলের বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন