ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) দ্রুত নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন এবং সাংবাদিকদের জন্য সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি আবু সালেহ আকন এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, অনেক প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের ঠিক মতো বেতন দিচ্ছে না। সাংবাদিকদের কোনো অভিন্ন বেতন কাঠামো নেই। দীর্ঘদিন ধরে ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও কার্যত তা হচ্ছে না। অথচ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েই চলেছে। তাই দ্রুত নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন এবং দশম ওয়েজ বোর্ড গঠনে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে সংবাদপত্র, অনলাইন, টেলিভিশন, রেডিও ও মাল্টিমিডিয়ার জন্য অভিন্ন ওয়েজ বোর্ড গঠন জরুরি।
ডিআরইউ নেতারা জানান, একজন সাংবাদিক সকাল ৮টায় বাসা থেকে বের হয়ে রাত ১১টায় ফিরেন। অনেক প্রতিষ্ঠানে বলা হয় সাংবাদিকদের জন্য ৮ ঘণ্টার ডিউটি নেই, তাদের ডিউটি সারাদিন। সাংবাদিকরা শ্রম আইনের আওতায় পড়েন না— তাহলে কেন তাদের এভাবে খাটানো হচ্ছে?
নেতারা আরও জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে ২ দিন ছুটি কার্যকর থাকলেও সাংবাদিকদের কোনো নির্দিষ্ট ছুটি নেই। এতে শারীরিক ও মানসিক চাপ বাড়ছে। অবিলম্বে সাংবাদিকদের জন্যও সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, চাইলেই সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া এবং ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী সব সুবিধা না দিয়ে কোনো সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা যাবে না।
এদিকে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ বৃদ্ধি কার্যকর হয়েছে। পাশাপাশি নিম্ন ও মধ্যম গ্রেডের কর্মচারীদের বিশেষ ভাতা ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে, পেনশনভোগীদের জন্য এ ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকার সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ গঠন করেছে। অথচ সাংবাদিকদের নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে।