শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

৪ মে থেকে উপজেলা ভোট

৪ মে থেকে উপজেলা ভোট

❏ সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন ১৪ মার্চ

এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, যার প্রথমটি হবে আগামী ৪ মে। এরপর ১১ মে দ্বিতীয়, ১৮ মে তৃতীয় ও ২৫ মে চতুর্থ ধাপে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে। মঙ্গলবার ২৭ কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

তিনি বলেন, বিস্তারিত তফসিল ও কোন ধাপে কোনে কোন উপজেলায় ভোট হবে তা আগামী সপ্তাহে জানানো হবে। দেশে ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ১০ মার্চ। পাঁচ ধাপের ওই ভোট শেষ হয় গত জুন মাসে।

আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শুরু হয় প্রথম সভার দিন থেকে। পরবর্তী পাঁচ বছর নির্বাচিত পরিষদ দায়িত্ব পালন করে। মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা এবং মার্চে রোজার কথা চিন্তা করে একেবারে ঈদের পরে উপজেলা পরিষদ ভোট করার পরিকল্পনার কথা এর আগে বলেছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। সেক্ষেত্রে রোজার শেষ দিকে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে গত ২৩ জানুয়ারি জানিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে আগামী ১৪ মার্চ ভোটের দিন রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন সভায় ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

২৭তম এই কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে। ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি বাছাইয়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ভোট ১৪ মার্চ।

এ নির্বাচনে ভোটের জন্য একটি দিন রাখা হলেও ফল জানা যায় তার আগেই। ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের বিপরীতে দল ও জোটগতভাবে সমান সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে বলে প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার দিনই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন করা হয়। সংসদের সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের ভোটার হন। সংসদে নৌকা প্রতীকে জয় পাওয়া ২২৫ এমপির হিসাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আনুপাতিক হারে পাচ্ছে ৩৮টি সংরক্ষিত আসন। ৬২ স্বতন্ত্র এমপির সঙ্গে মতৈক্য হওয়ায় তাদের ভাগের ১০ আসনেও আওয়ামী লীগই প্রার্থী দেবে। বাকি দুটি সংরক্ষিত আসন পাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে ৩০ জানুয়ারি। কাজ দ্রুত শেষ হলে এ অধিবেশনেই সংরক্ষিত নারী সাংসদরা যোগ দেয়ার সুযোগ পেতে পারেন।

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ