বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদে সকাল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভিড় করেছেন নেতাকর্মীরা।
সড়কের উভয় পাশে নেতাকর্মীদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও দলের স্বেচ্ছাসেবকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার পরিধি বাড়ছে।
তবে যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। হাসপাতালের বৈধ কার্ডধারী ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেত্রী। তার মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না তারা। বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে তার বেঁচে থাকা জরুরি ছিল।
আবার অনেক অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের অবহেলার কারণে তাদের চেয়ারপারসন সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাই তিনি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার জান্নাত কামনা করেন তারা।
রাজধানীর বাডডার খিলবাড়ির টেক এলাকা থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় ছুটে আসেন মহিলা দল নেত্রী আয়েশা আক্তার। তিনি বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই এ খবর পেয়ে মনকে বুঝাতে পারিনি। তাই দ্রুত ছুটে এসেছি।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন রাজনীতিতে ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে পরিচিত বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসারত অবস্থায় দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসনের এই প্রয়াণে দেশের রাজনীতিতে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু শুধু একটি রাজনৈতিক অধ্যায়ের সমাপ্তি নয়, বরং একটি যুগের অবসান। গণতন্ত্র, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে তিনি ছিলেন দৃঢ় ও আপসহীন এক নেত্রী। এই রাজনীতিকের চলে যাওয়ায় রাজনীতির ময়দান হারালো এক শক্তিশালী ও প্রভাবশালী কণ্ঠস্বর।
নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাবাজার পত্রিকা.কম


















