জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেছেন, সরকারি অফিসে সেবা পেতে গেলে মানুষকে ঘুষ দিতে হয়। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালা বাজারে সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এনসিপির উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা যেকোনো সরকারি অফিসে গেলেই মনে হয় কারও করুণার পাত্র, আসলে এগুলো তো আমাদের অধিকার। ভূমি অফিসে যেতেই এখন আমাদের ভয় লাগে; কারণ, এখানেই গেলেই আমাদের ঘুষ দিতে হবে। আমাদের যেটা প্রাপ্য সেটা ঘুষ দিয়ে পেতে হয়।’
দুর্নীতি দমন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে তাসনিম জারা বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতি দমন করার চেয়ে বেশি বিরোধী দল দমন করার কাজ করছে। আসলেই যদি দুদক নিরপেক্ষ হতো, তাহলে যারা ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি করে, সেটা বের করলে সমস্যার সমাধান হতো। যাঁরা ক্ষমতায় থাকেন, তারাই দুদকের প্রধানকে নিয়োগ দেন, তাই যাঁর কাছ থেকে নিয়োগ পেয়েছেন, তাকে তো ভয় পাবেনই।’
তিনি নতুন নিয়মের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা চাই, নিয়মটা পাল্টাতে। এমন নিয়ম হোক যাতে যে-ই ক্ষমতায় থাকুক, তাকেই সুষ্ঠু তদন্তের আওতায় আনুক। তাদের বিচার নিশ্চিত করুক। নতুন নিয়মই আমাদের নতুন সংবিধান। সাধারণ জনগণের হয়েই এনসিপি নতুন সংবিধানের আওয়াজ তুলছে। যেটির মধ্যে নাগরিক অধিকারটুকু ফিরে আসবে।’
রাজনীতিতে তরুণ ও নারীদের ভূমিকা নিয়ে তাসনিম জারা বলেন, ‘বিগত সময়গুলোতে তরুণদের অনেক ছোট করা হয়েছে, হেয় করা হয়েছে। কিন্তু তরুণদের মধ্যে দেশের প্রতি মায়া ও ক্ষমতাকে প্রশ্ন করার সাহস বেশি থাকে। নারীরা গণ–অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমাদের নারীরা যাতে নিরাপদে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে পারেন, আমরা এটিরও দাবি তুলছি।’
উঠান বৈঠকে এনসিপি সিলেট জেলার সদস্য হেলাল আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) শিরিন আক্তার শেলী ও নাহিদ উদ্দিন তারেক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিলেট মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী আবু সাঈদ, সদস্য সোহেল আহমদ মুসা, নুরুল ইসলাম, আয়েশা সিদ্দিকা প্রিয়া, গিয়াস উদ্দিন, জেলা প্রচার সমন্বয়কারী ছালিম আহমদ খান, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।