এই শরতে ঢাকায় এখন সকাল-বিকাল একরকম, দুপুরে আরেকরকম। কখনো রোদে চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে, হাঁটতে হাঁটতে ঘেমে একেবারে নাজেহাল। আবার হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি এসে রাস্তা-ঘাট ভেসে যাচ্ছে।
এমন আবহাওয়ায় শরীর খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে, অনেকের মাথা ব্যথা, সর্দি–কাশির মতো সমস্যাও দেখা দেয়। তাই এই সময়টায় একটু বাড়তি যত্ন না নিলে অসুস্থ হয়ে পড়া খুবই সহজ। যা করবেন-
১. পর্যাপ্ত পানি ও ইলেকট্রোলাইট পানীয়
শরীর ঘেমে গেলে শুধু পানি নয়, সঙ্গে ইলেকট্রোলাইট বা খাবার স্যালাইন পান করা দরকার। এতে শরীরে লবণ ও খনিজের ঘাটতি পূরণ হয়।
২. হালকা আর ঢিলেঢালা পোশাক পরুন
গরমে টাইট পোশাক শরীরকে আরও অস্বস্তিতে ফেলে। হালকা রঙের ও বাতাস চলাচল করতে পারে এমন কাপড় পরা ভালো। তবে হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে অস্বস্তি এড়াতে প্যাটার্নওয়ালা পোশাক পরতে পারেন।
৩. শীতল পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন
ঘরের জানালা–পর্দা টেনে সূর্যের আলো আটকান। ফ্যান, এসি বা কুলার ব্যবহার করুন। তবে বাইরে প্রচণ্ড গরম থাকলে শুধু ফ্যান চালানো শরীর ঠান্ডা করতে যথেষ্ট নাও হতে পারে।
৪. দুপুর রোদে কাজ এড়িয়ে চলুন
দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত গরম সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সময় রোদে ইউভি রশ্মিও অনেক বেশি থাকে। তাই দুপুরের এই সময়ে রোদে বেশি কাজ না করাই ভালো। প্রয়োজন হলে সকাল বা সন্ধ্যায় কাজ সারুন।
৫. ঘরে বসেই ঠান্ডা রাখুন শরীর
গরমে ঘাড়ে ভেজা কাপড় রাখা, ঠান্ডা পানিতে হাত–মুখ ধোয়া, কিংবা বরফ জলে কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছে নেওয়া — এসব ছোট কৌশল শরীর দ্রুত ঠান্ডা করে। তবে কড়া রোদ থেকে ঘরে ঢুকেই এমনটা না করা ভালো।
৬. অসুস্থতার লক্ষণ দেখলে সতর্ক হোন
মাথা ঘোরা, ঘাম থেমে যাওয়া, বমি বমি ভাব বা শরীর অস্বাভাবিক গরম লাগা — এসব হিট এক্সহস্টশন বা হিট স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। এমন হলে সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম নিন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
গরম–ঠান্ডার ওঠানামা এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। তবে শরীরকে প্রস্তুত রাখলে অস্বস্তি অনেকটাই কমানো যায়। পর্যাপ্ত পানি পান করা, আরামদায়ক পোশাক বেছে নেওয়া, সময় বুঝে চলাফেরা করা আর শরীরের সংকেত বোঝার চেষ্টা করলেই সুস্থ থাকা সম্ভব।
সূত্র: সিডিসি, হাভার্ড হেলথ, রেড ক্রস, ওএসএইচএ