মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে মাউশির বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব তানিয়া ফেরদৌসের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।
পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে বিগত ২০ ফেব্রুয়ারি যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছি। স্বাস্থ্যগত কারণে আমার পক্ষে দায়িত্ব পালন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই আমি মহাপরিচালকের দায়িত্ব হতে অব্যাহতির আবেদন করছি। অতএব, আমাকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আপনার সদয় মর্জি হয়।’ আবেদনপত্রের সঙ্গে তিনি চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্রও জমা দিয়েছেন।
গত সোমবার (৬ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) পদে নিয়োগ দিতে এক বিজ্ঞপ্তি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ডিজি পদে নিয়োগ দিতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিপ্তরের মহাপরিচালক পদে কাজ করতে আগ্রহী বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের ১৬তম এবং তদূর্ধ্ব ব্যাচের কর্মকর্তাদের আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্তসহ অফলাইনে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে মাউশির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। তিনি অবসরে যাওয়ার পর গত ৩০ জানুয়ারি এ পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন রসায়নের অধ্যাপক এহতেসাম উল হক। তার আগে তিনি পটুয়াখালী সরকারি কলেজে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু নিয়োগের পর তাকে প্রত্যাহার করার দাবিতে শিক্ষা ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট নামের একটি সংগঠন।
পরে দাবির মুখে নিয়োগ দেয়ার মাত্র ২০ দিনের মাথায় সরিয়ে দেয়া হয় তাকে। তখন তাকে ওএসডি করা হয়। এরপর জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খানকে মাউশির নতুন মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) করা হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে খারাপ আচরণসহ রয়েছে নানা অভিযোগ।