সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

মোদিকে এবার ‘মহাবিপদের’ হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প

মোদিকে এবার ‘মহাবিপদের’ হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প

রাশিয়ার সঙ্গে তেল বাণিজ্য ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে যেন উঠেপড়ে লেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনিতেই তার ৫০ শতাংশ বাড়তি শুল্কের জেরে নিজেদের বৃহত্তম বিদেশি বাজার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে ভারতের। মাত্র চার মাসের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি ৪০ শতাংশেরও নিচে পড়ে গেছে দেশটির। এরপরও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে মোদি সরকার, এমন ইঙ্গিত পেয়ে এবার মোদির জন্য মহাবিপদেরই হুঁশিয়ারি দিয়ে বসেছেন ট্রাম্প। 


স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেছেন, রুশ তেল কেনা বন্ধ না করলে ভারত ভারতীয় পণ্যের ওপর আরও ‘বড় ধরনের শুল্ক’ আরোপ করা হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের কারণে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর এনডিটিভির। 


যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে এয়ার ফোর্স ওয়ানে এক সাংবাদিক ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ নিয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে রাশিয়ার তেলের ব্যাপারটা তিনি আর করবেন না।


কিন্তু, ভারত সরকার দাবিটি অস্বীকার করছে বলে ট্রাম্পকে জানানো হলে তিনি বলেন, সেটা আমি জানি না। তারা যদি এটা বলতে চায়, তাহলে বিশাল শুল্ক দিতে হবে।

 

এরই মধ্যে ভারতীয় রপ্তানিপণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। টেক্সটাইল থেকে শুরু করে ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন খাতে এই উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

 

ট্রাম্প বলেছেন, ভারত রুশ তেল আমদানি বন্ধ না করলে এই শুল্ক বহাল থাকবে, এমনকি আরও বাড়তেও পারে।

 

গত সপ্তাহেই ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, মোদির সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়েছে। রাশিয়ার তেল আর কিনবেন না বলে তাকে আশ্বস্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্প্রতি কোনো ফোনালাপই হয়নি মোদির। অর্থাৎ, ট্রাম্প মিথ্যাচার করেছেন। 

 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার তেল কেনা বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। মূলত, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে বিধিনিষেধের কারণে সস্তায় তেল বিক্রি করছে রাশিয়া। ভারত এখন রাশিয়ার অন্যতম প্রধান ক্রেতা। তবে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের এই সম্পর্কে ঘোর আপত্তি জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ভারত তেল কেনার কারণেই ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারছে রাশিয়া।

 


সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ