বর্তমানে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে কিডনি রোগে ভোগা ব্যক্তির সংখ্যা। কিডনি সমস্যার চিকিৎসাও বেশ ব্যয়বহুল। তাই সুস্থ থাকতে অঙ্গটির যত্ন নেওয়া জরুরি। রোজকার কিছু ছোট ছোট ভুলে কিডনির স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। দীর্ঘদিন এমনটা চলতে থাকলে একসময় কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে।
দৈনন্দিন জীবনের কোন অভ্যাসগুলো কিডনির স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার জন্য দায়ী? চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
১. ঘুম থেকে উঠে পানি পান না করা
রাতে খাবার খাওয়ার পর থেকে সকাল পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণের বিরতি থাকে। এসময় শরীর ও কিডনি প্রায় পানিশূন্য অবস্থাতেই থাকে। তাই শরীরকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে দিনের শুরু করতে হবে পানি পানের মাধ্যমে।
অনেকে ব্রাশ করে খালি পেটে চা-কফির মতো পানীয়তে চুমুক দেন। এতে শরীর আরও বেশি ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। এতে কিডনির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
২. প্রস্রাব চেপে শুয়ে থাকা
মাত্র চোখের পাতায় ঘুম নেমে এসেছে, এদিকে প্রস্রাবেরও চাপ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ঘুম বাদ দিয়ে প্রস্রাব করতে চান না অনেকেই। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এমন অভ্যাস কিডনির জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
সারা রাত ধরে মূত্রাশয়ে প্রস্রাব জমে থাকার ফলে এমনিতেই তা স্ট্রেচ করে বড় হয়ে যায়। ঘুম ভাঙ্গার সঙ্গে সঙ্গেই তাই মস্তিষ্ক সংকেত পাঠায় তা খালি করার। কিন্তু অনেকে এই সঙ্কেত অগ্রাহ্য করে শুয়ে থাকেন। এতে হীতে বিপরীত হয়। ক্ষতি হয় কিডনির।
৩. খালি পেটে পেইনকিলার খাওয়া
ব্যথানাশক ওষুধ কিডনির জন্য ক্ষতিকর। চিকিৎসকদের মতে, এই ক্ষতির পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যায় যদি পেইনকিলার বা ব্যথানাশক ওষুধ খালি পেটে খাওয়া হয়। পেনকিলার ওষুধের ডোজ নির্ভর করে রোগীর বয়স, ওজন, ব্যথা-যন্ত্রণার তীব্রতা এবং প্রকারভেদের ওপর।
এছাড়াও রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির ওপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। তাই এজাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।
৪. শরীর আর্দ্র না রাখা
শরীরচর্চা, কায়িক পরিশ্রম করলে ঘাম হয়। এতে শরীর থেকে অনেকটা পরিমাণ পানি ও খনিজ বেরিয়ে যায়। এজন্য শরীরচর্চা পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েই শরীরে পানির জোগান দেওয়া জরুরি। কিডনি থেকে টক্সিন দূর করতে এবং ডিহাইড্রেশন-জাতীয় সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে পানি।
৫. সকালের নাশতা না খাওয়া
তাড়াহুড়োর চোটে অনেকেই সকালের নাশতা খান না। এই অভ্যাসটিও কিন্তু কিডনির জন্য খারাপ। দিনের শুরুতে অর্থাৎ সকালের নাশতায় প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ ব্যালান্সড ডায়েট থাকলে শরীর সবরকম পুষ্টি পায়। কাজেও এনার্জি আসে। আবার, কিডনির ওপর আলাদা করে কোনোরকম চাপ পড়ে না।