ডাকসু নির্বাচনে হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় দুটি সম্পাদকীয় পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন দুই প্রার্থী—রেহেনা আক্তার ও লামিয়া আক্তার (লিমা)। তারা দুজনই বহিরঙ্গন ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচন করার জন্য দুটি হল সংসদে প্রার্থী হয়েছেন।
শামসুন নাহার হল সংসদের নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী লামিয়া। অন্যদিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল সংসদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন রেহেনা।
নির্বাচন কমিশন ২১ আগস্ট প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। এতে দেখা যায় শামসুন নাহার ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল সংসদে বহিরাঙ্গন ক্রীড়া সম্পাদক পদে একটি করে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, স্বতন্ত্রসহ ১০টির মতো প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কিন্তু কোনো ছাত্রসংগঠনই সব হল সংসদের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে পারেনি। ১৮টি হলের মধ্যে ছাত্রদল সর্বোচ্চ ১৪টিতে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে পেরেছে। তবে প্যানেল ঘোষণা না করলেও বিভিন্ন হল সংসদে অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছে শিবির ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।
ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে পদ আছে ২৮টি। এসব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ৫০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। যাচাই-বাছাইয়ে ৪৭টি মনোনয়নপত্র প্রাথমিকভাবে ত্রুটিপূর্ণ বিবেচিত হয়।
ডাকসুর ভিপি পদে ৪৮ জন, জিএস পদে ১৯ জন ও এজিএস পদে ২৮ জনের প্রার্থিতা প্রাথমিকভাবে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১২টি সম্পাদকীয় পদে প্রার্থী হয়েছেন সর্বনিম্ন ৯ থেকে সর্বোচ্চ ১৯ জন। আর ১৩টি সদস্যপদের জন্য ২১৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে কেউ চাইলে সোমবারের (২৫ আগস্ট) মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ২৬ আগস্ট থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হবে। অবশ্য ছাত্রদল, শিবির ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের প্রার্থীদের অনেকে গত শুক্রবার থেকেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ‘কুশল বিনিময়’ করছেন।