রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

বাজারে উঠতে শুরু করেছে আমন ধান

বাজারে উঠতে শুরু করেছে আমন ধান

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, এবার ২০২৫-২০২৬ মৌসুমে সারা দেশে ৫৭ লাখ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। এবং উত্পাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৭৮ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুর, সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নেত্রকোনা অন্যতম।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত কয়েক বছর ধরে দেশে ধারাবাহিকভাবে হেক্টর প্রতি আমনের গড় উত্পাদন বাড়ছে। গত ২০২৪-২৫ মৌসুমে হেক্টর প্রতি আমনের গড় ফলন হয়েছে ২.৯৫ টন, যা আগের বছরের ২০২৩-২৪-এর গড় ২.৮১ টন থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া, ২০২২-২৩ অর্থবছরে হেক্টর প্রতি ২.৬৯ টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২.৬১ টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২.৫৫ টন উত্পাদন হয়েছে।

আমাদের নরসিংদী প্রতিনিধি নিবারণ রায় জানিয়েছেন, জেলায় এবছর গতবারের চেয়ে বেশি জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।


ইতিমধ্যে স্বল্প ও মধ্যম মেয়াদি আমন জাতের ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। নরসিংদী জেলার শস্যভাণ্ডার খ্যাত রায়পুরা, মনোহরদী, বেলাব ও শিবপুর উপজেলার জমি থেকে কৃষকরা পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত। ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তোলার সময় গ্রাম জুড়ে উত্সবের আমেজ বিরাজ করছে। জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডেপুটি ডাইরেক্টর (শস্য) কেবিডি. সালাহ উদ্দিন টিপু ও অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ সুব্রত কান্তি দত্ত জানিয়েছেন, এবছর সময়মতো বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ধানের ফলন খুবই ভালো হয়েছে।


নরসিংদী সদর উপজেলা শীলমান্দী গ্রামের কৃষক মতিউর রহমান জানান, তিনি এক একর জমিতে আমন ধান ফলিয়েছিলেন। জমিতে ফসলের উত্পাদন হওয়ার কথা ছিল ১৫ মণ। ধানও খুব ভালো হয়েছিল। কিন্তু ইঁদুর তার জমির ধান কেটে সর্বনাশ করে দিয়েছে। এখন তিনি ১০/১২ মণ পাবেন কি না, সন্দেহ রয়েছে।


পলাশ উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের কৃষক বাচ্চু মিয়া জানান, তিনি প্রায় দুই একর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। ধান খুবই ভালো হয়েছে। সময়মতো তুলতে পারলে তিনি লাভবান হবেন।


শিবপুর উপজেলার কৃষক তোফাজ্জল আহমেদ জানান, তার প্রায় সাত একর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ হয়েছে। প্রতি একর জমিতে ৪০ থেকে ৫২ মণ ফলনের আশা করছেন তিনি।


রায়পুরা উপজেলার রহিমাবাদ গ্রামের কৃষক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম ও কৃষক নূরু মিয়া বলেন, আমন ধান লাগানোর পর সময়মতো বৃষ্টি হওয়ার কারণে ফলন ভালো হয়েছে। পানি সেচের জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়নি। তার এক একর জমিতে সার, বীজ, কীটনাশকসহ ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। যার বাজার মূল্য ২৩ হাজার টাকা।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ